নয়াদিল্লি, ১৫ ডিসেম্বর (হি.স.): গণতন্ত্রের পীঠস্থান সংসদে নিরাপত্তা বিচ্যুতির ঘটনায় শুক্রবারও উত্তাল হয়ে উঠল নিম্নকক্ষ লোকসভা ও উচ্চকক্ষ রাজ্যসভা। নিরাপত্তায় গাফিলতি ও ১৪ সাংসদকে বরখাস্ত করার প্রতিবাদে শুক্রবার লোকসভা ও রাজ্যসভার অধিবেশন শুরু হওয়ার পর থেকেই বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিরোধী সাংসদরা। তুমুল হইহট্টগোলের কারণে উভয়কক্ষের অধিবেশন দুপুর দু”টো পর্যন্ত মুলতুবি করে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, সংসদ চত্বরে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে এদিন সকালে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন সংসদের উভয়কক্ষ থেকে বহিষ্কৃত ১৪ জন সাংসদ। এই ১৪ জনের মধ্যে ১৩ জন লোকসভা ও একজন রাজ্যসভার সাংসদ। প্রসঙ্গত, শীতকালীন অধিবেশনের বাকি সময়ের জন্য বৃহস্পতিবারই এই ১৪ জন সাংসদকে বরখাস্ত করা হয়। এদিন সংসদ চত্বরে বরখাস্ত হওয়া সাংসদদের সঙ্গে দেখা করেন কংগ্রেসের সংসদীয় দলের চেয়ারপারসন সোনিয়া গান্ধী, তিনিও প্রতিবাদে সামিল হন। ডিএমকে সাংসদ কানিমোঝি যিনি সাসপেন্ড হয়েছেন, তাঁর কথায়, “বিজেপি বারবার বলে আসছে তাঁরাইএকমাত্র দেশকে রক্ষা করতে পারে, অথচ সংসদকেও রক্ষা করতে পারল না। প্রধানমন্ত্রী সংসদের ভেতরে থাকতে পারতেন। তাঁরা নিজেদের প্রধানমন্ত্রীকে রক্ষা করতে পারেনি এবং তারপর তাঁরা বলছে আমরা বিষয়টিকে নিয়ে রাজনীতি করছি… যাই ঘটুক না কেন সরকারকে জবাবদিহি করতে হবে। দেশের নিরাপত্তা লঙ্ঘনের জন্য তারা দায়ী থাকবে।”
আবার নিজেদের মধ্যে রণকৌশল ঠিক করতে এদিন সকালে ফের বৈঠকে বসল বিরোধীরা। সংসদের অভ্যন্তরে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের চেম্বারে বৈঠকে বসেন বিরোধীদের আইএনডিআই জোটের নেতারা।

