ঝাড়্গ্রাম, ৯ ডিসেম্বর ( হি. স.) : গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে গুরুতর জখম হলেন একই পরিবারের তিন মহিলা সহ মোট চারজন। সিলেন্ডারের গ্যাস জ্বলন্ত উনুনের সংস্পর্শে আসার ফলে আগুন ছড়িয়ে পড়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে বলে মনে করা হচ্ছে। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার সকালে ঝাড়গ্রামের লালগড় থানার হরিনা গ্রামে।
পুলিশ জানিয়েছে আগুনে ঝলসে গুরুতর জখমরা হলেন খান্দুবালা গোস্বামী(৭০), সুলেখা গোস্বামী (৪৫),সীমা গোস্বামী( ৩০) এবং পাপন গোস্বামী (২২)। খান্দুবালা হলেন সুলেখা ও সীমার শ্বাশুড়ি। পাপন সুলেখার ছেলে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে গোস্বামী পরিবারের বাউন্ডারি দেওয়া বাড়ি। বাড়ির বরান্দায় একটি ঘেরা জায়গায় উনুন জ্বলছিল। সকালের রান্নাবান্না হওয়ার উনুনে আগুন জ্বলছিল। সেখান থেকে প্রায় পনেরো মিটার দূরে একটি ছোট পাঁচ কেজি ওজনের গ্যাস সিলিন্ডার রাখা ছিল। হঠাৎই সেই সিলিন্ডার ফেটে যায়। সেই সময় পরিবারের লোকজন উঠনের এদিক ওদিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিলেন।সিলিন্ডারটি ফটার সাথে সাথে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। অগ্নিদগ্ধ হন চারজন। স্থানীয় মানুষ জন দ্রুত উদ্ধার কার্যে হাত লাগান। তাদের দ্রুত উদ্ধার করে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান তারা। জানা গিয়েছে আহতদের মধ্যে খান্দুবালা এবং সুলেখার অবস্থা আশঙ্কা জনক।
উদ্ধারকারী মানুষদের মধ্যে অন্যতম পৃথ্বীশ পান্ডে বলেন ” ছোট সিলিন্ডার ছিল। বেশ কিছুটা দূরেই ছিল। ওটি ফেটেই দূর্ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার পরেই গ্রামবাসীরা তাদের উদ্ধার করে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।” পুলিশের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে বড় সিলিন্ডার থেকে ছোট পাঁচকেজি ওজনের সিলিন্ডারে গ্যাস ভরে রাখা হয়েছিল। ওজনের চেয়ে বেশি গ্যাস ভরায় এই বিপত্তি ঘটে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে । সিলিন্ডারটি ফেটে দু ফাঁক হয়ে যায়। লালগড় থানার আইসি অরিন্দম ভট্টাচার্য বলেন ” সিলিন্ডার ফেটে আগুন লেগে একই পরিবারের চারজন আহত হয়েছেন। তারা মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন।”