গুয়াহাটি, ১৯ অক্টোবর (হি.স.) : গুয়াহাটিবাসীকে পূজার উপহার দিয়েছে অসম সরকার। আজ সন্ধ্যায় মন্ত্ৰী, গুয়াহাটির মেয়র, বিধায়ক এবং অসংখ্য উৎসাহী জনতার উপস্থিতিতে লাল ফিতা কেটে চানমারিতে নবনিৰ্মিত অসমের দ্বিতীয় দীর্ঘ ‘শ্ৰদ্ধাঞ্জলি’ উড়ালসেতুর উদ্বোধন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা।
পূর্ব নির্ধারিত নির্ঘণ্ট অনুযায়ী আজ বৃহস্পতিবার মহাপঞ্চমীর দিন সন্ধ্যা ৫.১৫ মিনিটে বহু প্রতীক্ষিত জু-রোড-চানমারি এলাকায় নবনির্মিত ‘শ্ৰদ্ধাঞ্জলি’ উড়ালসেতুর উদ্বোধন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী ড. শর্মা। উদ্বোধনের আগে রং-তুলি দিয়ে নানা নকশা, অসমের বন্যপ্রাণী, সংস্কৃতি সংবলিত দৃষ্টিনন্দন চিত্র এঁকে এবং আলোকসজ্জায় সজ্জিত করে তোলা হয়েছে ২.৩ কিলোমিটার দৈৰ্ঘ্যের ‘শ্ৰদ্ধাঞ্জলি’ উড়ালপুল। উড়ালপুলের পিলার এবং রেলিঙে বিভিন্ন চিত্রের মাধ্যমে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের বার্তাও দেওয়া হয়েছে। গুয়াহাটি মহানগরের অন্যান্য উড়ালসেতুর তুলনায় এটি নানা কারণে পৃথক ও অনন্য৷ নবনিৰ্মিত এই উড়ালসেতুতে রয়েছে বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য৷ শেষের কয়েকদিন পূর্ত (লোকনির্মাণ) বিভাগের ইঞ্জিনিয়ার-কর্মীরা দিবারাত্র কাজ করছেন।
উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্ৰী হিমন্তবিশ্ব শর্মা বলেন, এই উড়ালসেতু মহানগরবাসীর জন্য রাজ্য সরকারের তরফ থেকে পূজার উপহার। এই উড়ালসেতু তৈরি হওয়ায় আগামী ২০ বছর মহানগরবাসী যানজট থেকে স্বস্তি পাবেন। আজ থেকে চানমারি থেকে গণেশগুড়ি, নারেঙ্গি, গীতানগর, নুনমাটি প্রভৃতি অঞ্চলে যাতায়াতকারী যানবাহনগুলিকে আর জ্যামে ভুগতে হবে না৷ তিনি বলেন, ২.৩ কিলোমিটার দৈৰ্ঘ্যের উড়ালসেতুটি নিৰ্মাণে ব্যয় হয়েছে ৩১৮ কোটি টাকা। বলেন, নিৰ্ধারিত সময়ের ছয় মাস আগে তাঁর দফতর লোক নিৰ্মাণ (পূর্ত) বিভাগ সম্পূৰ্ণ করেছে এই উড়ালপুল।
প্রসঙ্গত, গত ৩০ আগস্ট রাখি পূর্ণিমার দিন বিকালে মুখ্যমন্ত্রী ড. হিমন্তবিশ্ব শর্মা ফিতা কেটে গুয়াহাটির মালিগাঁওয়ে নবনির্মিত অসমের দীর্ঘতম ২.৬ কিমি দীর্ঘ চারলেনের ‘নীলাচল উড়ালসেতু’-র উদ্বোধন করেছিলেন।
আজ চানমারিতে ‘শ্ৰদ্ধাঞ্জলি’ উড়ালসেতু উদ্বোধনের সময় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন মন্ত্রী অশোক সিংঘল, গুয়াহাটির মেয়র মৃগেণ শরণিয়া, তিন বিধায়ক সিদ্ধাৰ্থ ভট্টাচাৰ্য, অতুল বরা, রমেন্দ্রনারায়ণ কলিতা, গুয়াহাটির পুলিশ কমিশনার দিগন্ত বরা, পূর্ত ও রাজ্য প্রশাসনের পদস্থ ও উচ্চপদস্থ আধিকারিক এবং বিজেপির স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।