BRAKING NEWS

সিকিমে আটকদের উদ্ধারে অখুশি গ্রামবাসীর ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ

বাঁকুড়া, ৭ অক্টোবর (হি.স.) : বিপর্যয়ের পর পেরিয়ে গিয়েছে বেশ কয়েকটা দিন। এখনও বাঁকুড়ার হেত্যাগড়া গ্রামের দুই যুবকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি তাদের পরিবার।

আটকে পড়া ওই দুই যুবকের সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে সহযোগিতা করছে না বাঁকুড়া পুলিশ ও প্রশাসন এই অভিযোগ তুলে শনিবার ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন নিখোঁজ দুই যুবকের পরিবার ও স্থানীয় গ্রামবাসীরা।
সিকিমের লাচুংয়ে হোটেলে কাজ করতেন বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের ভোলানাথ শিকারী ও কর্ণ অধিকারী। প্রতিদিনই টেলিফোনে পরিবারের সঙ্গে কথা হত তাঁদের। শনিবার দুই যুবকের সাথে শেষ কথা হয় বলে জানিয়েছে পরিবার। বিপর্যয়ের পর থেকে দুজনেরই ফোন সুইচড অফ থাকায় তাঁরা কী অবস্থায় আছেন তা নিয়ে উদ্বেগে পরিবার।
ইতিমধ্যে শিলিগুড়িতে থাকা হোটেল মালিকের সাথে যোগাযোগ করেছে ওই দুই যুবকের পরিবার। কিন্তু হোটেল মালিকও সদুত্তর দিচ্ছেন না বলে অভিযোগ। কঠিন এই সময়ে স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসনের উপর কিছুটা ভরসা ছিল গ্রামের মানুষের। কিন্তু নিখোঁজদের পরিবার ও স্থানীয়দের দাবি, পুলিশ ও প্রশাসন কোনওভাবেই তাঁদের সহযোগিতা করছে না।
এই পরিস্থিতিতে কিছুটা বাধ্য হয়ে রাস্তায় নেমে আসে হেত্যাগড়া গ্রামের মানুষ। রানিগঞ্জ – খড়গপুর ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় গ্রামবাসী ও আটকে পড়া দুই যুবকের পরিবারের সদস্যরা। দ্রুত ওই দুই যুবকের সঙ্গে পরিবারের যোগাযোগ করিয়ে না দিলে অবরোধ চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।
ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ৪ দিন পরেও সিকিম যেন মৃত্যুপুরী। প্রশাসন সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত ৬৯ জনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন সেনাবাহিনীর ৭ জন জওয়ান। তিস্তার জলে বাংলায় ভেসে এসেছে ৪২টি দেহ। জলপাইগুড়ি জেলায় তিস্তায় ভেসে এসেছে ২৯ জনের দেহ। সিকিমে বিপর্যয়ের চার দিন কেটে গেলেও এখনো বহু মানুষ নিখোঁজ। বহু মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে পরিবারগুলো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *