কলকাতা, ১৬ সেপ্টেম্বর (হি স)। মাদ্রিদে গিয়ে ‘শিল্পক্ষেত্রে বিনিয়োগ’ আনতে বড় ঘোষণা করেছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের। রাজ্যে যাতে বিনিয়োগ আসে, সেই কারণে স্পেনে গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাঁর সফরসঙ্গী হয়েছিলেন সৌরভ।
বাণিজ্য সম্মেলনের মঞ্চে সৌরভ জানান, বাংলায় শিল্পের প্রসার ঘটনাতে উদ্যোগী তিনি। আগামী পাঁচ থেকে ছয় মাসের মধ্যে মেদিনীপুরে নিজস্ব দ্বিতীয় ইস্পাত কারখানা গড়ে তুলবেন। দাদার এই ঘোষণার পরেই রাজনৈতিক মঞ্চ থেকে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ভেসে এসেছে।
মমতার সফর সঙ্গী হওয়া থেকে শুরু করে বিসিসিআই-এর সভাপতি পদ থেকে সৌরভকে সরানো, সবকিছু একসুতোয় বেঁধে রাজনৈতিক মহল যখন চুলচেরা আলোচনায় ব্যস্ত সেই সময় গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করতে শোনা গেল বঙ্গ বিজেপি নেতা তথা মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষকে। সৌরভ ‘বন্দনা’-ই করলেন তিনি। পাশাপাশি ইশ্বরের কাছে ‘দাদা’-র সাফল্যও কামনা করলেন।
সৌরভের ঘোষণা প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ শনিবার সাংবাদিকদের বলেন, “সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় গিয়েছেন বাংলার স্বার্থে। ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করুন যাতে সফল হন। তাতে বাংলার লাভ হবে। তবে তিনি রাজনীতির চক্করে যাতে না পড়েন। এই ঢপবাজির রাজনীতিতে যেন না পড়েন। যদি সম্ভব হয় বাংলায় আরও যাঁরা এই ধরনের সেলিব্রিটি রয়েছেন তাঁদেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাজে লাগান। তাঁদের ভাবমূর্তিকে কাজে লাগিয়ে যদি বাংলার লাভ হয় ক্ষতি কী! তবে শুধু খবর তৈরি করে আর ছবি তুললে কোনও লাভ হবে না।”
এদিন বাংলায় শিল্পায়ন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সুরই শোনা গেল দিলীপ ঘোষের কণ্ঠে। তিনি বলেন, “জমি তো রয়েইছে। বাম আমলে যে জমিগুলিতে শিল্প কারখানা হয়নি বা হয়ে বন্ধ হয়ে গেছে বা ওরাই বন্ধ করে দিয়েছেন সেগুলো তো রয়েইছে।”
যদিও রাজ্যকে নিশানা করে তাঁর সংযোজন, “কিন্তু, উন্নয়নের জন্য যে জমি কেন্দ্র সরকার চাইছে- রেললাইন, বিমানবন্দর নির্মাণ করা, জাতীয় সড়ক নির্মাণ করার জন্য সেই জমি রাজ্য দিতে পারছে না। ফলে কেন্দ্র সরকারের সব প্রকল্প আটকে যাচ্ছে।”
রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে টাকা ‘উধাও’ প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ সম্প্রতি সামনে আসা বিভিন্ন ঘটনা নিয়ে তাঁর প্রতিক্রিয়া, “ বিষয়টি অত্যন্ত চিন্তার। এটা ডিজিটাল যুগ। কিন্তু, এই সরকারকে আরও বেশি উদ্যোগী হতে হবে বলে মনে করি। সাধারণ মানুষকেও আরও বেশি সচেতন হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।”