নিজস্ব প্রতিনিধি, চড়িলাম, ১৯ জুলাই৷৷ বুধবার প্রভাতী জাগরণ পত্রিকাতে শিশু বিক্রির খবর শুনতে পেয়ে দ্রুত সেই শিশুদের বাড়িতে ছুটে যান এলাকার বিধায়ক সুশান্ত দেব৷স্বামী হারা এক মা অভাবের তাড়নায় নিজ গর্ভের সন্তানকে বিক্রি করতে চেয়েছিলেন৷যেটা খুবই অমানবিক৷ বুধবার বিশালগড়ের নবীনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের মাজেদা বেগমের বাড়িতে গিয়ে মাজেদা বেগমের সঙ্গে কথা বলেন বিধায়ক সুশান্ত দেব৷ মাজেদা বেগমের পরিবারের হাতে কিছু আর্থিক সহযোগিতা তুলে দেন নিজ উদ্যোগে৷ পরে সরকারিভাবে শিশু দুটির জন্য সরকারী ভাতার ব্যবস্থা করে দেন৷ পিতৃহারা শিশুদের জন্য সরকারী প্রকল্পে মাসিক চার হাজার করে আঠারো বছর পর্যন্ত ভাতার ব্যবস্থা রয়েছে৷ বিশালগড় মহকুমা শাসকের অফিসে যোগাযোগ করে সেই ভাতার ব্যবস্থা করে দেন৷ তাছাড়া মহিলা আগে থেকেই সামাজিক ভাতা পেতেন৷ পরে এদিনই মহিলার বাড়িতে যান বিশালগড় মহিলা থানার কর্তৃপক্ষ সহ চাইল্ড লাইনের কর্মীরা৷ নবীনগরের পঞ্চায়েত অফিসে প্রধান, উপপ্রধান সহ সকলের উপস্থিতিতে মহিলা সহ তার দুই সন্তানকে নিয়ে আসা হয় চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির অফিসে৷ সেখানে মহিলার এক ভাই এবং পাড়া-প্রতিবেশীদের সকলের মতামতে মহিলা সহ তার দুই সন্তানকে হোমে পাঠানোর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়৷ পরে সরকারিভাবে সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে দুই কোলের সন্তান সহ সেই মানসিক অবসাদগ্রস্থ মহিলাকে এদিনই আগরতলার শ্যামলী বাজারের ‘‘অমনিকুরী স্বধা গৃহে’’ পাঠানো হয়৷ সেখানে মহিলা সহ তার দুই সন্তানের পড়াশুনা এবং ভরনপোষনের দায়িত্ব সরকার বহন করবে৷ স্থানীয় বিধায়ক এবং সরকারী তৎপরতায় এই অভাগী মহিলা সহ তার সন্তান দুটির যথার্থ সুরাহা হওয়ায় খুশি এলাকার মানুষ৷এই প্রসঙ্গে বিধায়ক সুশান্ত দেব বলেন বর্তমান সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প রয়েছে যেগুলো সম্পর্কে আমাদের জানতে হবে৷যেমন পিতৃ মাতৃ হারা সন্তান বা যেকোন একজন পিতা বা মাতা হারানো গরীব ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল করতে সরকার একটি প্রকল্প তৈরি করেছেন৷যেখানে আঠারো বছর পর্যন্ত ছেলেমেয়েদের চার হাজার টাকার আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়৷ আরো অনেক প্রকল্প সেগুলো আমাদের সকলের দৃষ্টিগোচরে আনা প্রয়োজন৷