BRAKING NEWS

উত্তর জেলায় কংগ্রেসে ভাঙ্গন

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১২ জুলাই৷৷  প্রদেশ কংগ্রেস সহ-সভাপতি রূপময় ভট্টাচার্য সহ বেশ কিছুসংখ্যক শীর্ষস্থানীয় কংগ্রেস নেতারা দলত্যাগ করলেন৷ কংগ্রেসের  উপর আস্থা হারিয়ে উত্তর জেলায় জাতীয় কংগ্রেস দল ছিন্নভিন্ন হওয়ার পথে৷  বুধবার এক সাংবাদিক সম্মেলন করে প্রদেশ কংগ্রেসের সহ-সভাপতি রুপময় ভট্টাচার্য, ব্লক কংগ্রেস সভাপতি কঙ্কজ দে, মাইনোরিটি কংগ্রেস সেলের  সদস্য সিরাজ উদ্দিন আহমেদ সহ একগুচ্ছ কংগ্রেস নেতা প্রদেশ কংগ্রেসের উপর আস্থা হারিয়ে  শুধুমাত্র পদ থেকে নয় কংগ্রেসের প্রাথমিক সদস্য পদ থেকেও পদত্যাগ করলেন৷ ক্রমবর্ধমান রাজ্য কংগ্রেসের দ্বিচারিতার মনোভাব এবং সুদীপ রায় বর্মনের কান্ড কীর্তির উপর তারা আস্থা হারিয়ে দীর্ঘদিনের কংগ্রেস দলের সদস্যপদ ত্যাগ করলেন৷ নির্বাচনের পর যখন বিভিন্ন দিকে কংগ্রেস কর্মীরা আক্রান্ত হচ্ছিল তখন কোন কংগ্রেস নেতাকে কর্মীদের পাশে পাশে পাওয়া যায়নি৷ এমনকি উত্তর জেলার কংগ্রেসকর্মীরা যখন সাহায্যের জন্য এগিয়ে গেছে তখনও তাদেরকে কেউ উদ্ধতন নেতারা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেননি৷ তাই ৩০/৩৫বছর যাবৎ ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস করে আসা বিভিন্ন পদে আসীন উত্তর জেলার কংগ্রেস কর্মকর্তারা আজ ক্ষোভ জানিয়ে কংগ্রেস দল থেকে চিরতরে পদত্যাগ করল৷ তাদের মধ্যে একজন কর্মচারী নেতা তাপস রায় চৌধুরী যিনি ১৯৭২ সাল থেকে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস দল করে আসছেন প্রচন্ড ব্যথা বেদনা নিয়ে আজ কংগ্রেস দলকে বিদায় জানালেন৷ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের কিছু দুর্বলতা রয়েছে বলে তারা স্বীকার করেন৷ আগরতলার কংগ্রেস নেতারা যেমন করে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে বোঝায় তারাও তেমনি করে কাজ করে যায়৷ কখনো কংগ্রেসের তৃণমূল স্তরের কর্মীদের সাথে যোগাযোগ করে না৷ তাই তাদের মধ্যে ক্ষোভ পুঞ্জিভূত হতে হতে আজ তার বিস্ফোরণ ঘটলো৷ উল্লেখ্য,,গত বিধানসভা নির্বাচন থেকে ধর্মনগর কংগ্রেস ভবনে একটা বিভাজনের সৃষ্টি হয়৷ বিশেষ করে যখন নতুন করে সিপিএম থেকে কংগ্রেসে যোগদান করে একজন বহিরাগত কংগ্রেসের প্রার্থী হয়ে যায় এবং প্রাক্তনরা প্রতারিত হয় তখন থেকেই ধর্মনগরে ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের মধ্যে ক্ষোভ পুঞ্জিভূত হতে শুরু করে৷ তারা আরো জানায়, শুধুমাত্র নেতৃবৃন্দ নয় ,দলে দলে বহু কংগ্রেস কর্মী কংগ্রেস দল ত্যাগ করে অন্য দলের সমর্থক হয়ে যেতে পারে৷ গত বিধানসভা নির্বাচনে দীর্ঘদিন যাবত যে কমিউনিস্টদের বিরুদ্ধে এতদিন যাবত  জাতীয় কংগ্রেস এই রাজ্যে আন্দোলন করে এসেছে ,পদে পদে হিংসার শিকার হয়েছে তাদের সঙ্গেই  এবার রাজ্যে কংগ্রেস এবং বামফ্রন্টের মধ্যে আসন সমঝোতা হয় তখন থেকেই  প্রাক্তন কংগ্রেস কর্মী দুর্দিনের বন্ধুরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন৷ আর বর্তমান প্রদেশ কংগ্রেসের বিশেষ করে সুদীপ প্রায় বর্মনের কার্যকলাপে বীতশ্রদ্ধ হয়ে ধৈর্য ধরে রাখতে না পেরে অবশেষে তারা  কংগ্রেসকে চিরতরে বিদায় জানান৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *