পাটনা, ৪ মে (হি.স.): কেন্দ্রের আপত্তি উড়িয়ে সব রাজনৈতিক দলের ঐক্যমতের ভিত্তিতে বিহারে জাতিগত আদমশুমারি চালু করেছিল নীতীশ কুমারের সরকার। তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছিল পাটনা হাইকোর্টে। বৃহস্পতিবার সেই মামলার শুনানির সময় বিহারে জাতপাতের ভিত্তিতে জনগণনার উপরে স্থগিতাদেশ জারি করল পাটনা হাইকোর্টের বিচারপতি পূর্ণেন্দু সিং-এর সিঙ্গল বেঞ্চ। দু’দিন শুনানির পর এদিন রায় জানানো হয়। আগামী ৩ জুলাই ফের শুনানি হবে।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালের পর ২০২১ সালে ভারতে জনগণনা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনা মহামারির কারণে সেই প্রক্রিয়া পিছিয়ে যায়। আর নতুন করে যখন শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় তখন জনগণনার ক্ষেত্রে তফশিলি জাতি এবং তফশিলি উপজাতি বাদে অন্য কোনও ক্ষেত্রে জাতপাতের উল্লেখ না রাখার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্র সরকার। এমনকী ওবিসি-দের ক্ষেত্রেও আলাদা জাতির উল্লেখ রাখা হবে না বলে জানানো হয়। শুধু ওবিসি বলেই উল্লেখ করা হবে।
অনেকে কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেও শুরু থেকে এর তীব্র বিরোধিতা করে আসছিলেন নীতীশ কুমার। তাঁর দাবি ছিল, এই সেনসাসে প্রতিটি জাতির আলাদা আলাদা উল্লেখ রাখতে হবে। জানুয়ারি মাসে নিজের সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিহারে জাতপাতের ভিত্তিতে জনগণনা শুরু করেন নীতীশ কুমার। আর তারপরই পাটনা হাইকোর্টে এই বিষয়ে মামলা দায়ের হয়।
এ বিষয়ে বিহারের প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী তারকিশোর প্রসাদ বলেছেন, এটা দুর্ভাগ্যজনক যে বিহার সরকার এই বিষয়টিকে হাইকোর্টের সামনে সঠিকভাবে তুলে ধরেনি। জাতিগত আদমশুমারির বিষয়ে তাঁদের (বিহার সরকারের) অভিপ্রায় ভুল ছিল।