নয়াদিল্লি, ৩ জানুয়ারি (হি.স.): দিল্লির খানজাওয়ালা এলাকার দুর্ঘটনায় তরুণীর মৃত্যুতে হতবাক গোটা দেশ। সম্প্রতি এই ঘটনার পুলিশি তদন্তে প্রকাশ্যে এল আরও এক নয়া তথ্য। নববর্ষের রাতে স্কুটি চালিয়ে বাড়ি ফেরার সময় ২০ বছরের ওই তরুণীর সঙ্গে ছিলেন তাঁর বান্ধবীও। গাড়ির সঙ্গে স্কুটির সংঘর্ষ ঘটার পরে ভয়ে তিনি পালিয়ে যান। মঙ্গলবার স্পেশাল সিপি (আইন ও শৃঙ্খলা) জোন ২ জানিয়েছেন, স্কুটিতে ওই তরুণী একা ছিলেন না, দুর্ঘটনার সময় তাঁর সঙ্গে একটি মেয়ে ছিল। দুর্ঘটনার পর সে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। ১৬৪ সিআরপিসি-র অধীনে তাঁর বয়ান রেকর্ড করা হবে।
দুর্ঘটনার ঠিক আগে ওই তরুণী যে হোটেলে ছিলেন, সেই হোটেলের ম্যানেজার এদিন জানিয়েছেন, দু’জনকে কথা কাটাকাটি করতে দেখা যায়। তাঁদের যখন থামতে বলা হয়, তখন দু’জনে নীচে নেমে হাতাহাতি শুরু করে। এরপর স্কুটিতে চেপে দু’জনে চলে যায়। পুলিশ সূত্রের খবর, একটি হোটেলে কয়েক জন বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে জন্মদিনের অনুষ্ঠান পালন করতে গিয়েছিলেন তাঁরা। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে যে, তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত বাকি বন্ধুদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করবে। সিসিটিভি ফুটেজে দুর্ঘটনার ঠিক আগে তরুণীটিকে স্কুটি চালাতে দেখা গিয়েছে। তদন্তের খুঁটিনাটি মৃতার পরিবারকে জানাচ্ছে পুলিশ। দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে, যাদের একটি হোটেলে মেয়েদের সঙ্গে দেখা গিয়েছে। ছেলেদের একটি আলাদা রুম বুক করা ছিল এবং হোটেলের কর্মীরা তাঁদের মেয়েটির সাথে কথা বলতে দেখেছে।