নয়াদিল্লি, ২১ অক্টোবর (হি.স.): জ্ঞানই জীবনের দোষ-ত্রুটিকে দূর করে। যে নীর, খীর ও বিবেককে চিনতে পারে তিনিই গুণী। এমনই অভিমত পোষন করেছেন প্রখ্যাত রামকথা আবৃত্তিকার অতুল কৃষ্ণ ভরদ্বাজ। তিনি বলেছেন, ঐক্য একীকরণের নীতি হল ভারতীয় সংস্কৃতির প্রাণ। কথা, চিন্তা এবং কাজে ঐশ্বরিক শক্তিকে অনুভব করলে প্রতিটি সংকট কাটিয়ে ওঠা সম্ভব।
হিন্দুস্থান সমাচার সংবাদ সংস্থা এবং ইন্দিরা গান্ধী ন্যাশনাল সেন্টার ফর দ্য আর্টসের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘দীপোৎসব: পঞ্চ প্রণ’-এর দ্বিতীয় দিনে শুক্রবার উন্নত ভারতের বিষয়ে একটি বক্তৃতা অনুষ্ঠিত হয়। কেরলের রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান, রাম কথা পাঠক অতুল কৃষ্ণ ভরদ্বাজ, হিন্দুস্থান সমাচার-এর অধ্যক্ষ অরবিন্দ ভালচন্দ্র মার্ডিকর এবং আইজিএনসিএ-এর সদস্য সচিব ডঃ সচ্চিদানন্দ প্রদীপ প্রজ্বলন করে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন অরবিন্দ ভালচন্দ্র মার্ডিকর।
বিশেষ অতিথি অতুল কৃষ্ণ ভরদ্বাজ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া পঞ্চ প্রণ হল পঞ্চ মহাভূত। ঐক্য একতার নীতি ভারতীয় সংস্কৃতির প্রাণ, এটি বিজ্ঞানীরা ঈশ্বর কণা হিসাবে প্রমাণ করেছেন। ভারতীয় বিজ্ঞানীরা ইতিমধ্যে বলেছেন যে বস্তু এবং চেতনা উভয়ের মধ্যেই ঈশ্বর আছেন। যার ক্ষমতা আছে সে সত্য। ঐক্য জানতে হলে সত্যকে জানতে হবে এবং রাম নামই সত্য। যা মূল থেকে চেতনা প্রকাশ করে, সেটাই সত্য।
অতুল কৃষ্ণ ভরদ্বাজ বলেছেন, প্রতিটি কণায় ভগবানকে দেখলেই পঞ্চ প্রণের সূচনা হবে। ঈশ্বর ভারতকে সবচেয়ে সুন্দর দেশ বানিয়েছেন। ভারতে ছয়টি ঋতু রয়েছে। প্রতিটি সংস্কৃতির মানুষের উচিত তাদের আবহাওয়া অনুযায়ী জীবনযাপন করা। পৈশাচিক জ্ঞান ভঙ্গের মাধ্যমে এবং ঐশ্বরিক জ্ঞান যোগ করার কাজ করে। সকলের সুখ কামনা করলেই ভারতকে উন্নত ভারত বলা সম্ভব হবে। তবেই ভারত বিশ্বগুরু হবে। ভারত নিজস্ব শিক্ষার ভিত্তিতে উন্নত হবে। ডঃ সচ্চিদানন্দ যোশী পৌরহিত্য ভাষণে বলেন, আমাদের ভারতকে আরও একবার জানতে এবং চিনতে হবে। উন্নয়নের ধারণা জানতে হবে। শহরের পর শহর গড়ে নয়, গ্রামে ফিরে যেতে হবে। আমাদের উন্নয়নের মাপকাঠি দেখতে হবে, তবেই উন্নত ভারতের ধারণা প্রমাণিত হবে। অনুষ্ঠানে ওয়ার্ধার মহাত্মা গান্ধী হিন্দি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রজনীশ কুমার শুক্লা, জিতেন্দ্র তিওয়ারি, রাজেশ তিওয়ারি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।