দুর্গাপুর, ১৯ অক্টোবর (হি.স.) : বড় বিপদ রয়েছে কপালে, বাড়ি ছেড়ে অন্য কোথাও ছেলেকে রেখে আসতে হবে। তান্ত্রিকের এমন নিদান শুনে কলকাতার টালিগঞ্জ থেকে ছেলেকে কাঁকসায় খাটপুকুরে মামার বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছিল মা-বাবা। কিন্তু শেষ রক্ষা আর হল না। চারদিন নিখোঁজের পর জাতীয় সড়কের কালভার্টের জলে ছেলের নিথর দেহ উদ্ধার হল। বুধবার মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে কাঁকসার বাঁশকোপা সংলগ্ন এলএন্ডটি মোড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, মৃতের নাম ধীরাজ রায়(১৯), কলকাতার টালিগঞ্জের বাসিন্দা। পরিবার সুত্রে জানা গেছে, মাস দুয়েক আগে কোন জ্যোতিষি হাত দেখে বলেছিল বড় বিপদ আছে। তাই বাড়ী ছেড়ে অন্য কোথাও রেখে আসতে হবে। তাই চলতি বছর গনেশ পুজোর আগে কাঁকসার খাটপুকুরে মামা বাড়ী পাঠিয়ে দেয় তার বাবা-মা। গত রবিবার বন্ধুদের বাড়ী যাওয়ার নাম করে মামা বাড়ী থেকে সাইকেল নিয়ে বেরিয়েছিল। তারপর থেকে কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি। পরে কাঁকসা থানায় নিখোঁজ ডাইরি করে পরিবারের লোকজন। বুধবার জাতীয় সড়কের এলএন্ডটি মোড়ে একটি কালভার্ট থেকে প্রচন্ড দুর্গন্ধ পেয়ে কৌতুহল জাগে স্থানীয় বাসিন্দাদের। উন্মুক্ত ওই কালভার্টের নিচে উঁকি দিতেই নজরে পড়ে জলে পড়ে রয়েছে এক যুবকের দেহ। বাসিন্দারা তখন দ্রুত কাঁকসা থানা পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে এবং পরিবারের লোকজন শনাক্ত করে। তারপর পুলিশ মৃতদেহ দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। কালভার্ট এর নিচে ওই যুবকের সাইকেলটিও উদ্ধার হয়। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, সম্ভবত কালভার্টের ঢাকনা খোলা থাকায় এই দুর্ঘটনা। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ,” দীর্ঘদিন ধরে কালভার্টের ঢাকনা খোলা রয়েছে। আর তাতে প্রায় দুর্ঘটনা ঘটছে। উন্মুক্ত কালভার্টের ঢাকনা দেওয়ার পাশাপাশি জাতীয় সড়কের বন্ধ থাকা একা পাশের সার্ভিস রোড খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে বাসিন্দারা। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।