আগরতলা, ১৫ সেপ্টেম্বর : মানুষের জীবনযাত্রাকে সহজতর করার ক্ষেত্রে প্রকৌশলীদের ভূমিকা অপরিসীম। বর্তমানে সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রেই প্রযুক্তির ব্যাপক প্রভাব রয়েছে। আজ প্রজ্ঞাভবনে ৫৫তম ‘ইঞ্জিনীয়ার ডে’ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডাঃ) মানিক সাহা একথা বলেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কোনও দেশ বা রাজ্যের উন্নয়ন প্রকৌশলীদের ছাড়া কল্পনাও করা যায় না। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশকে একটি সর্বশ্রেষ্ঠ দেশ হিসেবে গড়তে চাইছেন। আর এর সফল বাস্তবায়ন প্রকৌশলীদের সাহায্য ছাড়া কখনো সম্ভব নয়। প্রকৌশলীরাও উন্নত দেশ গড়ার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের রাজ্য রাবার, বাঁশ, চা ইত্যাদি প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর। প্রাকৃতিক সম্পদকে কাজে লাগিয়ে রাজ্যের সার্বিক বিকাশে প্রকৌশলীদের উদ্ভাবনী দক্ষতার প্রয়োগ করতে হবে। বিগত দিনে রাজ্য প্রশাসনে মাত্র একজন চীফ ইঞ্জিনীয়ার বিভিন্ন কাজ তদারকি করতেন। বর্তমানে কাজের সুবিধার্থে বিভিন্ন দপ্তরের ইঞ্জিনীয়ারিং বিভাগে চীফ ইঞ্জিনীয়ার রয়েছেন। ফলে কাজের গতিও বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশের প্রখ্যাত প্রকৌশলী ভারতরত্ন স্যার এম. বিশ্বেশ্বরাইয়ার কর্মজীবনকে প্রেরণা হিসেবে ইঞ্জিনীয়ারিং পাঠরত ছাত্রছাত্রীর নিকট তুলে ধরার আহ্বান জানান মুখ্যমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে মুখ্যসচিব জে কে সিনহা বলেন, মানব সভ্যতাকে রঙ্গীন দুনিয়া দিয়েছে প্রকৌশলীরাই। প্রকৌশলীদের অবদানের ফলেই মানুষের জীবনযাত্রা সহজ থেকে সহজতর হয়ে উঠেছে। যোগাযোগ, বিদ্যুৎ, স্বাস্থ্য থেকে শুরু করে বিল্ডিং নির্মাণ প্রতিটি ক্ষেত্রেই প্রকৌশলীদের উল্লেখ্যযোগ্য ভূমিকা রয়েছে। অনুষ্ঠানে পূর্ত দপ্তরের সচিব কিরণ গিত্যে বলেন, শিক্ষক দিবস, ডক্টর দিবসের মতো এখন থেকে রাজ্যে ইঞ্জিনীয়ার ডে সরকারি উদ্যোগে পালন করা হবে। এছাড়াও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন এনআইটি’র প্রফেসর শুভদ্বীপ ভট্টাচার্য ও পূর্ত দপ্তরের (সড়ক ও বিল্ডিং) চীফ ইঞ্জিনীয়ার রাজীব দেববর্মা।
অনুষ্ঠান শুরুর পূর্বে ৫৫তম ইঞ্জিনীয়ার ডে উদযাপন উপলক্ষ্যে গুর্খাবস্তিস্থিত ‘দি ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনীয়ার্স’ ত্রিপুরা রাজ্য শাখার কার্যালয় প্রাঙ্গণে ভারতরত্ন স্যার এম বিশ্বেশ্বরাইয়ার মর্মর মূর্তির আবরণ উন্মোচন করেন মুখ্যমন্ত্রী।