নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৪ সেপ্টেম্বর ৷৷ রাজ্যের ব্লাড ব্যাংকগুলিতে এখনো রক্তের ঘাটতি রয়েছে৷ বিজ্ঞানের অভূতপূর্ব উন্নতি সাধিত হলেও এখনো পর্যন্ত রক্তের বিকল্প কোন কিছু আবিষ্কার করা কিংবা রক্ত তৈরি করার পদ্ধতি আবিষ্কার করতে পারেনি চিকিৎসা বিজ্ঞান৷ একমাত্র রক্তদানের মধ্য দিয়েই রক্তের ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব৷ সেই ভাবনাকে মাথায় রেখে সামাজিক দায়বদ্ধতার অঙ্গ হিসেবে রবিবার আগরতলার হারাধন সংঘ ক্লাবে এক মহতি রক্তদান শিবির অনুষ্ঠিত হয়৷ এদিন প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে এই রক্তদান শিবিরের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী ডঃ মানিক সাহা৷ এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এলাকার বিধায়ক সুরজিৎ দত্ত, পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার, কর্পোরেটর রত্না দত্ত, আগরতলার প্রেসক্লাবের সম্পাদক প্রণব সরকার সহ অন্যান্যরা৷ এই রক্তদান শিবিরে মোট ৫০ জন সদস্য রক্তদান করেন৷ এদিন রক্তদান শিবিরের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী ডঃ মানিক সাহা বলেন, রাজ্যে কোনভাবেই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে দেওয়া হবে না৷ আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটবে, মানুষ অধপতনে যাবে, তা কখনো মেনে নেওয়া যায় না৷ বর্তমান সরকার তার সাথে কখনো আপোষ করবে না৷ রবিবার রাজধানীর হারাধন সংঘ ক্লাবের উদ্যোগে আয়োজিত রক্তদান শিবিরের সুচনা করে এই কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা৷ মুখ্যমন্ত্রী আরো বলেন একটা সময় ছিল কোন ক্লাব কত বেশি শক্তিশালী হতে পারে তা নিয়ে প্রতিযোগিতা চলত৷ মানুষ নিরাপত্তার জন্য একটি ক্লাবের সদস্য হয়েও নিরাপত্তার জন্য শক্তিশালী ক্লাবের সদস্যপদ গ্রহণ করতো৷ বর্তমানে ক্লাবগুলো সেই প্রতিযোগিতা ছেড়ে সমাজ সেবামূলক কাজকর্মে নিজেদেরকে নিযুক্ত করছে৷ ক্লাব সংসৃকতির এই পরিবর্তন সমাজকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে যথেষ্ট সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন৷ হারাধন সংঘ ক্লাবের কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী বলেন শুধু রক্তদান শিবির সংঘটিত করলে চলবে না সমাজকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে নানাবিধ পরিকল্পনা গ্রহণ করে এগিয়ে যেতে হবে৷ এই বিষয়টি মাথায় রেখে বর্তমান রাজ্য সরকার কাজ করছে৷ মানুষ অধপতনে যাবে, আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটবে, তার সাথে সরকার কখনো আপোষ করবে না৷ তাই এই বিষয়টির প্রতি সকলকে লক্ষ্য রাখার জন্য আহ্বান জানান মুখ্যমন্ত্রী৷ মুখ্যমন্ত্রী এইদিন বিভিন্ন ক্লাব গুলিকে সুকৌশলে বার্তা দেন কোন ক্লাব এলাকায় কাউকে বসবাস করতে হলে সেই ক্লাবের সদস্যপদ গ্রহণ করতে হবে৷ এই ধরনের ঘটনা যেন না ঘটে৷ সদস্যপদ গ্রহণের জন্য মানুষের উপর চাপ দেওয়ার ঘটনা যেন না ঘটে তার দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে৷ একটি ক্লাব একটি মিনি গভর্নমেন্ট৷ ক্লাবের একটা বড় ভূমিকা রয়েছে৷ বর্তমান সময়ে নতুন প্রজন্মের একাংশ ছেলে মেয়েরা পড়ালেখা নিয়ে ব্যস্ত থাকে তারা ক্লাবে আসতে চায় না৷ আবার একাংশ নেশায় আসক্ত হয়ে পড়েছে৷ আগরতলা শহরতলিতে এইটা বেশি দেখা যায়৷ তাই নেশার হাত থেকে যুব সমাজকে মুক্ত করতে সকলে একসাথে মিলে কাজ করতে হবে৷
2022-09-04