অসমে মাদ্রাসা ভেঙে দেওয়ার বিরুদ্ধে বেজায় ক্ষুব্ধ এপিসিসি নেতা কমলাক্ষ

করিমগঞ্জ (অসম), ৩ সেপ্টেম্বর (হি.স.) : সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণ সাপেক্ষে জিহাদিদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। এতে কোনও আপত্তি থাকার কথা নয়। কিন্তু জিহাদি কার্যকলাপের অজুহাতে মাদ্রাসা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে কে ? প্রশ্ন তুলেছেন প্রদেশ কংগ্রেস (এপিসিসি)-এর কার্যনির্বাহী সভাপতি তথা উত্তর করিমগঞ্জের বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ।

এ সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে তীব্র ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ। তিনি বলেন, এভাবে একের পর এক মাদ্রাসায় বুলডজার চালিয়ে রাজ্য সরকার বিভাজনের নোংরা রাজনীতিতে মেতে উঠেছে। দেশবিরোধী অথবা সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত নির্দিষ্ট প্রামাণ থাকলে অবশ্য‌ই জিহাদিদের বিরুদ্ধে কঠোর থেকে কঠোরতর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হোক। তা-বলে গোটা মাদ্রাসা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া কোনও অবস্থায় মেনে নেওয়া যায় না। এহেন কর্মকাণ্ডকে সংবিধান বিরোধী কাজ বলে আখ্যা দিয়েছেন কমলাক্ষ।

রাজ্য সরকারের দিকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে তিনি বলেন, যদি সৎসাহস থাকে তা-হলে যে সকল সরকারি কার্যালয় দুর্নীতির আঁতুড় ঘরে পরিণত হয়েছে, সেগুলো ভেঙে গুঁড়িয়ে দেখান। একজন কর্মচারী দুর্নীতিগ্রস্ত হতে পারেন, তার জন্য কী সম্পূর্ণ কার্যালয় ভেঙে দেওয়া উচিত? ঠিক সেভাবে একজন জিহাদির কারণে আস্ত একটা মাদ্রাসা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া কোনও অবস্থায় ঠিক হচ্ছে না। মরিগাঁও জেলার অন্তর্গত মৈরাবাড়ি এবং বরপেটায় জিহাদি টাকায় পরিচালিত দুটি মাদ্রাসা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়ার পর বৃহস্পতিবার বঙাইগাঁও জেলার যোগীঘোপায় আল-কায়দা পরিচালিত কাবাইতারি মারকাজ-উল আরিফ-উ-কারিয়ানা মাদ্রাসাও প্রশাসন বুলডজার দিয়ে ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছে। এতেই প্রদেশ কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী সভাপতি কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন।

তিনি বলেন মুখ্যমন্ত্রী ড. হিমন্তবিশ্ব শর্মার নেতৃত্বে রাজ্যে স্বৈরাচারী শাসন চলছে। বর্তমান সময়ে রাজ্যে এক অরাজকতা চলছে বলেও মন্তব্য করেন কমলাক্ষ। বিভাজনের রাজনীতির মাধ্যমে রাজ্যের সার্বিক পরিবেশ বিষিয়ে তোলার‌ও অভিযোগ তুলেছেন তিনি। জিহাদিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে রাজ্য সরকারের এভাবে মাদ্রাসা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়ার ঘটনাকে চরম স্বেচ্ছাচারিতা বলে মনে করেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *