আর্থিক সংকট মোকাবিলায় ব্যয় কমানো হচ্ছে শ্রীলঙ্কার বাজেট

কলম্বো, ২৯ আগস্ট (হি.স.) : নজিরবিহীন আর্থিক সংকটের মধ্যে বুধবার অন্তর্বর্তীকালীন বাজেট পেশ করতে চলেছেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমসিঙ্ঘে। অন্তর্বর্তীকালীন বাজেটে অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় ব্যয় কমাতে পারেন । পাশাপাশি আর্থিক সংকটে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ নিম্ন আয়ের মানুষদের সাহায্য করার জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপ করতে পারেন বলেই মনে করা হচ্ছে।

ঋণে জর্জরিত দেশের জন্য ইন্টারন্যাশনাল মানিটরি ফান্ড অথবা আইএমএফের বিশেষ প্যাকেজ নিয়ে আলোচনার মধ্যে বাকি বছরের জন্য রনিল বাজেট ব্যয় কমাতে পারেন বলেই জানা গিয়েছে। রনিল জানিয়েছিলেন, আর্থিক পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে ও আইএমএফের সঙ্গে আলোচনার পরই অন্তর্বর্তীকালীন বাজেটে ব্যয় সংকোচ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে সরকার। রনিল বিক্রমসিঙ্ঘে জানিয়েছেন, প্রতিরক্ষা, জনকল্যাণ এবং ঋণের সুদ পরিশোধের জন্য ব্যয় অনেকটাই কমানো হবে।

দ্বীপরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রীয় দায়িত্বেও রয়েছেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমসিঙ্ঘে। অন্তর্বর্তীকালীন বাজেটে আর্থিক সংকটে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ নিম্ন আয়ের মানুষদের সাহায্য করার জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপ করতে পারেন বলেই মনে করা হচ্ছে। এমনকী দেশের দ্বিগুণ অঙ্কের ঘাটতি কমানোর জন্য নতুন কর কাঠামো ঘোষণা করা হতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। নভেম্বর মাসে ২০২৩ সালের জন্য পূর্ণ মেয়াদের বাজেট পেশ করা হতে পারে। সেখানে আর্থিক ঘাটতি থেকে বেরিয়ে আসার রূপরেখা নির্ধারিত হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

পর্যটন নির্ভর দেশে ১৯৪৮ সালের স্বাধীনতার পর এই প্রথম দেশের ২ কোটি ২০ লক্ষ মানুষ নজিরবিহীন আর্থিক সংকট পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছেন। কারণ এই দ্বীপরাষ্ট্রে বিদেশী মুদ্রার ঘাটতি সংকট পরিস্থিতি তৈরি করেছে। এমনকী সেদেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম লাগামছাড়াভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট গোতাবায় রাজপক্ষের বাড়িতে বিক্ষোভের আগুন আছড়ে পড়েছিল। সেদেশের অসংখ্য সাধারণ মানুষ রাষ্ট্রপতি ভবনের দখল নিয়েছিল। উত্তপ্ত পরিস্থিতি এবং তীব্র জনরোষে বাসভবন ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছিলেন গোতাবায়া। পরবর্তী সময়ে প্রেসিডেন্ট পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন গোতাবায়া। নয়া প্রেসিডেন্ট কীভাবে আর্থিক সংকট পরিস্থিতি মোকাবিলা করে, সেটাই এখন দেখার।