চাকরিচ্যুত ১০৩২৩ শিক্ষক শিক্ষিকার পূণরায়কর্মস্থলে উপস্থিত হওয়া নিয়ে প্রধানশিক্ষকরা ধন্দে

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১২ আগস্ট৷৷ চাকুরীচ্যুত ১০৩২৩ শিক্ষক শিক্ষিকারা ১২ আগস্ট শুক্রবার তাদের নিজ নিজ স্কুলে পুনরায় কাজে যোগ দিতে যান৷ কিন্তু সরকার ও শিক্ষা দপ্তর থেকে কোন ধরনের নির্দেশ না থাকায় সংশ্লিষ্ট স্কুলে প্রধান শিক্ষক ও দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক তাদেরকে কাজে যোগ দিতে দেননি৷


রাজ্যের চাকুরীচ্যুত ১০৩২৩ শিক্ষক শিক্ষিকারা আজ তাদের পূর্ববর্তী কর্মস্থলে পুনরায় কাজে যোগ দিতে যান৷ কিন্তু তাদেরকে সংশ্লিষ্ট স্কুল কর্তৃপক্ষ কাজে যোগ দিতে দেয়নি৷ এমনকি কেন তাদেরকে কাজের যোগ দিতে দেওয়া হবে না সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট স্কুল কর্তৃপক্ষ তেমন কোন যুক্তিসঙ্গত উত্তর দিতে পারেননি৷ শিক্ষা দপ্তর থেকে তাদের কাছে কোন ধরনের নির্দেশ না থাকার কারণেই তাদেরকে কাজে যোগ দিতে দেওয়া হয়নি৷ রাজধানী আগরতলা শহরের মহারানীর তুলসীবতী বালিকা বিদ্যালয়েও চাকুরীচ্যুত শিক্ষক-শিক্ষিকারা পুনরায় কাজে যোগ দিতে যান৷ কিন্তু তাদেরকে কাজে যোগ দিতে দেওয়া হয়নি৷ তাতে চাকুরীচ্যুত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে৷ এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে চাকুরীচ্যুত শিক্ষক সংগঠনের এক নেতা জানান সুপ্রিম কোর্ট থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে এই মামলায় যারা জড়িত ছিলেন শুধুমাত্র তাদেরকেই চাকুরিচ্যুতির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ যারা এই মামলার পার্টি নন তাদেরকে এ ধরনের কোন নির্দেশ দেওয়া হয়নি৷ বিগত বামফ্রন্ট সরকারের আমলে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে ভুল ব্যাখ্যা করে তৎকালীন সরকার ও শিক্ষা দপ্তর ১০ হাজার ৩২৩ জন শিক্ষককে চাকুরীচ্যুত করেন বলে অভিযোগ৷ সুপ্রিমকোর্ট থেকে স্পষ্টিকরণ পাওয়ার পর চাকুরীচ্যুত শিক্ষকরা তাদের নিজ নিজ কর্মস্থলে আজ পুনরায় কাজে যোগ দিতে যান৷ সংগঠনের নেতা আরো অভিযোগ করেন মোহনপুরে শাসক দলের কিছু লোকজন চাকুরিচ্যুত শিক্ষকরা সংশ্লিষ্ট স্কুল গুলিতে পুনরায় কাজে যোগ দিতে গেলে তাদেরকে মারধর করা হয়৷ এ ধরনের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানানো হয়েছে৷ অবিলম্বে চাকরীচ্যুত শিক্ষকদের কাজে যোগ দেওয়ার অনুমতি দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকার ও শিক্ষা দপ্তরের কাছে অনুরোধ জানানো হয়েছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *