নয়াদিল্লি, ১১ আগস্ট (হি.স.): প্রত্যন্ত গ্রামে জন্ম, অনিচ্ছা সত্ত্বেও রাজনীতিতে পা রেখে একের পর এক সাফল্য পাওয়ার পর এবার দেশের উপরাষ্ট্রপতি পদ অলঙ্কৃত করলেন জগদীপ ধনখড়। প্রত্যাশিত ভাবেই দেশের নতুন উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েছেন জগদীপ ধনখড়। বিরোধী শিবিরের প্রার্থী মার্গারেট আলভাকে পরাজিত করে দেশের উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েছেন জগদীপ ধনখড়। উপরাষ্ট্রপতি হওয়ার আগে জগদীপ ধনখড়ের রাজনৈতিক জীবন কেমন ছিল? আইনজীবী থেকে কী ভাবেই বা হলেন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব?
১৯৫১ সালের ১৮ মে রাজস্থানের ঝুনঝুনুতে এক প্রত্যন্ত গ্রামে জন্ম ধনখড়ের। চিত্তোরগড়ের সৈনিক স্কুলে পড়াশোনা শেষে পদার্থবিদ্যায় স্নাতক হন ধনখড়। এর পর রাজস্থান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন নিয়ে পড়াশোনা করেন। সালটা ১৯৭৯। প্রথমে আইনজীবী হিসাবে পেশাদার জীবন শুরু করেছিলেন দেশের নয়া উপরাষ্ট্রপতি। যোগ দিয়েছিলেন রাজস্থানের বার কাউন্সিলে। পরে শীর্ষ আইনজীবী পদে তাঁর উত্তরণ ঘটেছিল। ১৯৯০ সালে সুপ্রিম কোর্টে আইনজীবী হিসাবে কর্মরত ছিলেন তিনি। পাশাপাশি দেশের একাধিক হাইকোর্টেও কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে ধনখড়ের।
রাজস্থান হাইকোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্টও হয়েছিলেন জগদীপ। আইনজীবী হিসাবে কাজ করতে করতেই রাজনীতির আঙিনায় পা রাখেন ধনখড়। ১৯৮৯ সালে রাজনীতিতে তাঁর অভিষেক ঘটে। রাজস্থানের ঝুনঝুনু থেকে জনতা দলের টিকিটে লোকসভা নির্বাচনে জিতে সাংসদ হন তিনি। ১৯৯০ সালে প্রথম বার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কুর্সিতে বসেন ধনখড়। এর পর ১৯৯৩ সাল থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত রাজস্থান বিধানসভার সদস্য ছিলেন ধনখড়। কিষানগড় কেন্দ্রের বিধায়ক ছিলেন তিনি। তবে রাজনীতিতে আসার ক্ষেত্রে তাঁর ‘অনিচ্ছা’র কথা জানিয়েছিলেন ধনখড়। অথচ সেই তিনিই সাংসদ, বিধায়ক, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, রাজ্যপাল হিসাবে দায়িত্ব সামলানোর পর এবার দেশের উপরাষ্ট্রপতি হলেন।