কার্গিল বিজয় দিবসে শহিদ সিআরপিএফ জওয়ান শান্তনু সরকারের নামে উৎসর্গ রাস্তা

আগরতলা, ২৬ জুলাই (হি. স.) : রাস্তার নামাঙ্কনের মধ্য দিয়ে শহিদ ত্রিপুরার বীর সন্তান কনস্টেবল জিডি শান্তনু সরকারকে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়া হয়েছে। কার্গিল বিজয় দিবসে নরসিংগড় থেকে গান্ধীগ্রাম ভায়া পুলিশ ট্রেনিং একাডেমী রাস্তাটি শহিদ সিআরপিএফ জওয়ান শান্তনু সরকারের নামে উৎসর্গ করা হয়েছে। তিনি ৯ সেপ্টেম্বর ২০০৪ সালে জম্মু ও কাশ্মীরে আইইডি বিস্ফোরণে শহিদ হয়েছিলেন।

আজ ত্রিপুরায় কার্গিল বিজয় দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে আইজিপি সিআরপিএফ ত্রিপুরা সেক্টর তত্বাবধানে এবং বাহিনীর ১২৪ নম্বর ব্যাটালিয়ানের কমানডেন্টের উদ্যোগে রাস্তার নামাঙ্কন শহিদ জওয়ান শান্তনু সরকারের নামে হয়েছে। এ-বিষয়ে সিআরপিএফ ত্রিপুরা সেক্টরের আইজিপি রবিদীপ সিং শাহি বলেন, দেশ সুরক্ষায় বাহিনীর জওয়ানরা সর্বদা নিয়োজিত রয়েছেন। বহু জওয়ান দেশের সুরক্ষায় আত্ম বলিদান দিয়েছেন। ত্রিপুরার অনেকেই কর্তব্য পালনে শহিদ হয়েছেন। তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাতে বিভিন্ন রাস্তার নামাঙ্কন এবং স্ট্যাচু নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

তাঁর কথায়, এমন প্রস্তাব ত্রিপুরা সরকারকে দেওয়া হয়েছিল। ত্রিপুরা সরকার ওই প্রস্তাবে সম্মতি জানিয়েছে। তাই, আজ শহিদ জওয়ান শান্তনু সরকারের নামে রাস্তা উতসর্গ করা হয়েছে। তাঁর দাবি, এধরনের উদ্যোগ সিআরপিএফের অবদান মানুষের সামনে তুলে ধরবে। পাশাপাশি যুব প্রজন্ম উদ্বুদ্ধ হবে।

এদিন সিআরপিএফ এক প্রেস বিবৃতিতে জানিয়েছে, ২০০৪ সালের  ৯ সেপ্টেম্বর বাহিনীর ৮১ নম্বর ব্যাটালিয়ানের দুইটি গাড়ির কনভয়ে সন্ত্রাসবাদী হামলা হয়েছিল। জম্মু ও কাশ্মীরের ডোডা জেলায় ডোডা থানাধীন এলাকায় সন্ত্রাসবাদীরা আইইডি বিস্ফোরণ এবং এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে বাহিনীর উপর হামলা করেছিল। একটি গাড়ি সরাসরি বিস্ফোরণের মুখে পড়েছিল। এমন ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার মুখে পরেও সিআরপিএফ জওয়ানরা সাহসিকতার সাথে মোকাবিলা করেছেন। তাতে আহত জওয়ানদের কাছ থেকে অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার সন্ত্রাসবাদীদের পরিকল্পনা ভেস্তে গিয়েছে। ওই সন্ত্রাসী হামলায় কনস্টেবল/জিডি রূপেশ কুমার সিং, কনস্টেবল/জিডি শান্তনু সরকার এবং কনস্টেবল/জিডি পবন কুমার শহিদ হয়েছিলেন।  এদিনের কার্গিল বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান রাস্তার নামাঙ্কন সমারোহে অন্যান্যদের মধ্যে শহিদ জওয়ান শান্তনু সরকারের মা সবিতা সরকার উপস্থিত ছিলেন।