Lack Of Irrigation:সেচের অপ্রতুলতায় চাষাবাদে মার খাচ্ছেন কৃষকরা

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৮ জুলাই৷৷ একদিকে প্রচন্ড দাবদহ এবং অন্যদিকে জল সেচের ব্যবস্থা বন্ধের কারণে কৃষকের মাথায় হাত৷ অথচ রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকার কৃষকের আয় দ্বিগুণ করার ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে বলে দাবি করে আসছে৷ কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকারের এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে  কৃষি দপ্তরের সহযোগিতা কতটুকু বাস্তব মুখী এখন সেটাই প্রশ্ণ চিহ্ণ৷ একদিকে  প্রচন্ড দাবদাহ, অন্যদিকে সেচ ব্যবস্থা বিকল হয়ে পড়ে আছে৷  কৃষি দপ্তরের কোন হেলদোল নেই৷এর ফলে কৃষকরা কৃষি কাজ করতে হিমশিম খাচ্ছে৷  না ধান চাষ হচ্ছে, না সবজি চাষ৷ সবই মুখ থুবড়ে  পড়ে আছে৷ এমনই চিত্র ধরা পড়ল বিলোনীয়ার সুকান্ত নগর গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর বিলোনীয়ায়৷ অত্র এলাকার কৃষক শম্ভু মজুমদারের সাথে কথা বলে জানা যায়, শম্ভু মজুমদার ১৯৮৬ সালে বিএ পাশ করার পর সরকারি কোনো সুযোগ না পাওয়ায়, চাকরির আশায় বসে না থেকে কৃষি কাজকে অবলম্বন করে  নিজের জীবন জীবিকা প্রতিপালন করে যাচ্ছেন৷ বর্তমানে  প্রখর দাবদাহে কৃষিকাজ বাধার সম্মুখীন হয়েছে৷ বৃষ্টি না হওয়ার কারণে কৃষকের ফসল মাঠে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে৷ পাশাপাশি  উত্তর বিলোনিয়া এলাকায় কৃষিকাজে জল সেচের জন্য একটি সেচের মেশিন ছিল যেখান থেকে অত্র এলাকার কৃষকরা চাষাবাদের জল দিয়ে ধান চাষ এবং সবজি চাষ করতেন৷ প্রায় বছর খানেক হয়ে গেল জলসেচের মেশিনটি বিকেল হয়ে পড়ে আছে৷ দপ্তরের কর্মীদের কোন হেলদোল নেই৷  কৃষকদের মাঠের ফসল  কাঠফাটা রোদে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে শুধুমাত্র সেচ ব্যবস্থার কারণে৷এরফলে অত্র এলাকার প্রতিটি কৃষক যেমনি ধান চাষে তেমনি সবজি চাষে অর্থনৈতিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন৷ এরই ফলে বাজারে সবজির অগ্ণিমূল্য৷ কৃষক  সবজি ফলাতে পারছেনা বলেই বাজারে চাহিদা ও যোগানের সমতা না থাকাতে বাজারে অগ্ণিমূল্য৷ এরই ফলে পকেটে টান পড়েছে সাধারণ জনগণের৷অত্র এলাকার কৃষকরা চাইছেন কৃষি দপ্তর অতিসত্বর সেচ ব্যবস্থা সচল করার ব্যবস্থা করুক৷  এলাকার আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিক কৃষি দপ্তর৷সরকার কৃষকদের পাশে না দাঁড়ালে কৃষকরা আরো জটিল সমস্যার সম্মুখীন হবে৷ কৃষি উৎপাদন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় তাদের পরিবার প্রতিপালন করা কষ্টকর হয়ে উঠবে৷