বাজারিছড়া (অসম), ১৬ জুলাই (হি.স.) : করিমগঞ্জ জেলার অন্তর্গত পাথারকান্দি বিধানসভা এলাকার ইচাবিল চা বাগান ও সংলগ্ন কয়েকটি মৌজায় জবরদখলকৃত সরকারি প্রায় ১২০০ বিঘা জমি পুনরুদ্ধারে মাঠে নেমেছে জেলা প্রশাসন। আজ শনিবার সকাল প্রায় ১১টা থেকে রণংদেহী মেজাজে জেলাশাসক মৃদুল যাদব (আইএএস), পুলিশ সুপার আইপিএস পদ্মনাভ বরুয়া এবং পাথারকান্দির সার্কল অফিসার অর্পিতা দত্তমজুমদাররা বিশাল পুলিশ, আধাসেনা ও বুলডজার (এসকেভেটর) নিয়ে ইচাবিল সহ ইছারপার, রাধামাধবপুর, কির্তে, রশিদপুর, হুসেনপুর, কটনপুর প্রভৃতি মৌজায় উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে।
তবে মাইকযোগে প্রচার অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের ৩০ ঘণ্টা আগে বুলডজার চালানোর প্রতিবাদে পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতিতে লিপ্ত হয়েছিলেন একাংশ ভুক্তভোগী জনতা। দুদিন আগে পাথারকান্দি সার্কল প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকযোগে প্রচার করে ১৭ জুলাই বিকাল পাঁচটার মধ্যে সরকারি জমি ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সে অনুযায়ী বহু মানুষ তাঁদের বসতবাড়ি ছেড়েও যাচ্ছিলেন। কিন্তু ঘোষণা অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়সীমার ৩০ ঘণ্টা আগে আজ সকালে আচমকা বিশাল পুলিশ ও আধাসেনা নিয়ে বসতবাড়িতে বুলডজার চালানোয় ক্ষেপে উঠেছিলেন একাংশ জনতা। তবে কিছুক্ষণের মধ্যে উত্তেজিত জনতাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছেন জেলাশাসক ও পুলিশ সুপার। জানা গেছে, ইতিমধ্যে কটামণিতে অবস্থিত ভারতীয় স্টেট ব্যাংকের ভাড়া-বাড়িও গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই আইনি প্রক্রিয়ায় সরকারি বনভূমি বেদখলমুক্ত করার পাশাপাশি এবার খাস ও সিলিং জমি পুনরুদ্ধারে হাত দিয়েছে। এতে সাফল্যও আসছে। পাথারকান্দিতে খাস ও সিলিং জমি জবরদখলমুক্ত করতে গত জুন মাসের শেষের দিকে এবং জুলাই মাসের প্রথম দিকে উচ্ছেদ অভিযানে নেমে পাথারকান্দি রাজস্ব সার্কল প্রশাসন লোয়াইরপোয়া ব্লকের ডেঙ্গারবন্দ গ্রাম পঞ্চায়েতের হৈলামছড়া এলাকা থেকে ৩২ জন অবৈধ দখলদারদের বসতবাড়ি ভেঙে বিতাড়িত করে এবং তাদের বিভিন্ন বাগান কেটে প্রায় ৪০০ বিঘা সরকারি জমি জবরদখলমুক্ত করতে সক্ষম হয়েছে। বাকিদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানা গেছে।