কলকাতা, ৯ জুলাই (হি. স.) : সিগারেটের সঙ্গে নেশাজাত দ্রব্য মিশিয়ে এক যুবতীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে গ্রেফতার কুখ্যাত দুষ্কৃতী শেখ বিনোদ ওরফে শেখ আখতারকে। শনিবার সকালে অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করে গল্ফগ্রীন থানার পুলিশ।
শেখ বিনোদ নামে ওই যুবক গল্ফগ্রীন থানা এলাকায় নিজের নামের আড়ালে একটি ভুয়ো ডেটিং সেন্টার চালাত বলে জানা গিয়েছে। ওই ভুয়ো ডেটিং সেন্টারেই যুবতীকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ। ওই যুবতীর অভিযোগ, তাঁর শ্লীলতাহানিও করা হয়েছে। পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছিল, সিগারেটের মধ্যে নেশাজাতীয় কিছু জিনিস মিশিয়ে তাঁকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছিল।
এবারের ঘটনাটি ঘটেছিল ২৭ জুন। এরপর ৮ জুলাই আবারও অভিযুক্ত ব্যক্তি চড়াও হয়। কাউকে কিছু জানালে পরিণতি আরও ভয়ঙ্কর হবে বলে যুবতীকে হুমকি দেয় অভিযুক্তরা। ওই যুবতী এবং তাঁর বোনের শ্লীলতাহানির উদ্দেশে তাঁদের উপর চড়াও হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয়, যুবতীর ভাইকে খুনের চেষ্টা করা হয় বলেও অভিযোগ করা হয় পুলিশের কাছে।
যুবতীর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেন গল্ফগ্রীন থানার পুলিশকর্মীরা। সোমবার সকালে ঘটনায় মূল অভিযুক্ত শেখ আখতারকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৩৬, ৫১১, ৩০৭, ৩২৮, ৩৫৪, ৩৫৪ (বি), ৫০৬ এবং ৩৪ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
এর আগে, পূর্ব পুটিয়ারির একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ব্রাঞ্চ ম্যানেজার জালিয়াতির অভিযোগ করেন। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে শেখ বিনোদের সরাসরি যোগ পাওয়া যায়। তার ভিত্তিতেই ২০২০-র সেপ্টেম্বর মাসে তাকে গ্রেফতার করে রিজেন্ট পার্ক থানার পুলিশ। তবে শেখ বিনোদের গ্রেফতারের পিছনে অন্য সমীকরণ ছিল বলে দাবি কলকাতার এই কুখ্যাত গ্যাংস্টারের শাগরেদদের। তাঁদের দাবি, এক প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতার নির্দেশেই গ্রেফতার করা হয়েছে শেখ বিনোদকে। পুলিশের দাবি, ওই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ম্যানেজার রিজেন্ট পার্ক থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন, পটনার বাসিন্দা কুমার আনন্দ নামে এক ব্যক্তি অনলাইন ব্যাঙ্ক প্রতারণার একটি অভিযোগ জানিয়েছেন তাঁদের ব্যাঙ্কের শাখায়। ওই অভিযোগে দেখা যাচ্ছে, প্রতারণার টাকা জমা পড়েছে চমন সিংহ নামে কলকাতার এক বাসিন্দার অ্যাকাউন্টে।