ধর্মনগর, ২৮ জুন : নেশা বিরোধী অভিযানে আবারও বড় সাফল্য পেল পুলিশ। এবার অভিনব কায়দায় গাঁজা পাচার করতে গিয়ে বাগবাসা পুলিশের হাতে আটক ছয় লক্ষ টাকার শুকনো গাঁজা সমেত আট পাচারকারী।
এবার অভিনব পদ্ধতি ও ভিন্ন পন্থা অবলম্বন করছে মাদক পাচারকারীরা। বিশেষ করে গাঁজা পাচারের ক্ষেত্রে এবার রেল পথকে করিডোর করে যাত্রী সেজে গাঁজা পাচার অব্যাহত রেখেছে বহিঃ রাজ্যের মহিলারা। অনুরুপ মঙ্গলবার দুপুরে উত্তর জেলার বাগবাসা আউট পোষ্টের পুলিশের কাছে গোপন খবর আসে, একদল মহিলা বহিঃ রাজ্যে বিপুল পরিমাণ গাঁজা পাচারের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাচ্ছে। সেই সূত্র ধরে স্হানীয় আউট পোষ্টের পুলিশ বাগবাসা এলাকার ধর্মনগর-বাগবাসা সড়কের উপর ওঁৎপেতে বসে থাকে। তখন দুটি টমটমে সন্দেহভাজন সাতজন মহিলা ও একজন পুরুষ যাত্রী সেজে বসে থাকা অবস্থায় দেখে পুলিশের প্রাথমিক সন্দেহ হলে তাদের তল্লাশি চালায়। তল্লাশি চালিয়ে তাদের সাথে থাকা ছোট বড় বিভিন্ন ধরনের ব্যাগ থেকে মোট চব্বিশ প্যাকেটে ৫৮.৮০০ কেজি শুকনো গাঁজা উদ্ধার করে পুলিশ।
আটক করা হয় বহিঃরাজ্যের সাত মহিলা সহ এক পুরুষ পাচারকারীকে। ধৃতরা হলেন, আশিস দাস, টুম্পা দাস, সুষমা শাক্ষী, পম্পা দাস, কাঞ্চন শাহানী, পিঙ্কি শাহানী, রম্বা মাহাত্ম্য এবং শোভা মাহাত্ম্য। সকলেই কলকাতার বিভিন্ন জেলার বাসিন্দা বলে জানা গেছে। বর্তমানে উদ্ধারকৃত গাঁজা সহ পাচারকারীর দলটি বাগবাসা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।
এদিকে ধর্মনগর মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সৌম্য দেববর্মা জানান, পাচারকারীর দলটি আগরতলা থেকে ট্রেন যোগে ধর্মনগর রেল ষ্টেশন আসে। তারপর সেখান থেকে টমটমে করে বাগবাসা এলাকায় এসে সেখান থেকে কলকাতার উদ্দেশ্য যাবার কথা ছিল ঐ দলটির। তিনি আরো জানান, উদ্ধারকৃত গাঁজার বাজার মূল্য আনুমানিক ছয় লক্ষ টাকা। পুলিশ একটি এনডিপিএস ধারায় মামলা রুজু করে তদন্তে নেমেছে। বুধবার ধৃতদের ধর্মনগর জেলা আদালতে সোপর্দ করা হবে বলেও জানান মহকুমা পুলিশ আধিকারিক।

