করিমগঞ্জ (অসম), ২০ জুন (হি.স.) : চলতি বন্যায় করিমগঞ্জ জেলার পাঁচটি রাজস্ব চক্রের ২৩৫টি গ্রামের মোট ৮৮ হাজার ৪০৮ জন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। যার মধ্যে করিমগঞ্জ রাজস্ব চক্রে ১৩,১৫০ জন, বদরপুরে ১০,৮৩৩, নিলামবাজারে ২৫,১৪৬, পাথারকান্দিতে ৫,২৫০, রামকৃষ্ণনগরে ৩৪,৪২৫ জন ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
এর মধ্যে বেশি দুর্গত করিমগঞ্জ রাজস্ব চক্রের ১৫০ জন এবং নিলামবাজারে ২৬৮ জনকে এসডিআরএফ-এর জওয়ানরা উদ্ধার করে ত্রাণশিবিরে পৌঁছিয়ে দিয়েছেন। জেলায় ৩২টি ত্রাণকেন্দ্র খোলা হয়েছে। এর মধ্যে করিমগঞ্জে ১৯, বদরপুরে ১১, পাথারকান্দিতে দুটি। এছাড়া ৪৯টি কেন্দ্রে ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে। এগুলোর মধ্যে করিমগঞ্জে ১৯টি, বদরপুরে ৮-টি, নিলামবাজারের ৬-টি, পাথারকান্দিতে ৪-টি এবং রামকৃষ্ণনগরে ২৫টি কেন্দ্র রয়েছে।
ত্রাণশিবিরে রয়েছেন মোট ১০ হাজার ৩০৪ জন বন্যাক্রান্ত। এঁদের মধ্যে বদরপুরে ৯৫৯, করিমগঞ্জে ৯,৩০৩ এবং পাথারকান্দিতে ৪২ জন। এবারের বন্যায় এ পর্যন্ত করিমগঞ্জ জেলার নিলামবাজারে তিনজন এবং রামকৃষ্ণ নগরে একজনের জীবনহানি ঘটেছে। জেলার ত্রাণ শিবির সহ অন্যান্য স্থানে ৩৭টি মেডিক্যাল টিম পরিষেবা চালিয়ে যাচ্ছে।
জেলা দুর্যোগ মোকাবিলা দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, রবিবার পর্যন্ত ৮০ হাজার ৩৭৪ জন বন্যাক্রান্তকে ত্রাণ সামগ্রী প্রদান করা হয়েছে। সামগ্রীগুলো যথাক্রমে চাল ১৪৬৮.৫ কুইন্টাল, ডাল ২৯৫.৮৬৫ কুইন্টাল, লবণ ৯৪.৮৬৬৬ কুইন্টাল, সর্ষের তেল ৫৩০৭.৬ লিটার। এছাড়া অন্যান্য ত্রাণ সামগ্রী যেমন বিস্কুট, মশার কয়েল, মোমবাতি, ব্লিচিং পাউডার, সেনিটারি ন্যাপকিন, দিয়াশলাই বাকসো, আমূল তাজা ইত্যাদি প্রদান করা হয়েছে।
এদিকে জেলা প্রশাসন থেকে সবধরনের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে এবং ত্রাণকেন্দ্রগুলিতে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ অব্যাহত রয়েছে বলে জানানো হয়েছে।