জ্বালানি শেষ হতেই পাথরবৃষ্টি শ্রীলঙ্কায়, গুলি চালাল সেনা, আহত ১১ জন

কলম্বো, ২০ জুন (হি.স.) : শ্রীলঙ্কায় জ্বালানি সঙ্কট চরমে। লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে জ্বালানি না পেয়ে পেট্রোল পাম্পে পাথর বৃষ্টি করল দিশাহীন নাগরিক ।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে গুলি চালাল শ্রীলঙ্কার সেনাবাহিনী। এতে ১১ জন আহত হয়েছেন। রবিবার রাতে এই ঘটনা ঘটেছে দেশটির বিসুভামাডু অঞ্চলে । ক্ষতিগ্রস্ত হয় সেনার একটি ট্রাক।

বিদেশি মুদ্রার ভান্ডার কার্যত তলানিতে এসে ঠেকেছে। আর্থিক ভাবে বিপর্যস্ত শ্রীলঙ্কায় জ্বালানি সঙ্কট চরমে। তার জেরে নিত্যদিন দেশের নানা প্রান্তে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন নাগরিকেরা। তবে গত কাল রাতে যে পরিস্থিতি তৈরি হল, তা কার্যত নজিরবিহীন! একটি পাম্পে জ্বালানি (পেট্রল, ডিজ়েল) সংগ্রহের জন্য ভিড় জমিয়েছিলেন বহু নাগরিক। কিন্তু পেট্রল শেষ হয়ে যাওয়ায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন অনেকে। পরিস্থিতি এমন অবস্থায় পৌঁছয় যে, গুলি চালাতে বাধ্য হয় শ্রীলঙ্কার সেনা। পুলিশ জানিয়েছে, অশান্তি দমনে সেনা সদস্যরা এই প্রথমবারের মতো গুলি ছুঁড়েছে, এতে আটজন বেসামরিক নাগরিক ও তিন সেনা সদস্য আহত হয়েছেন।ক্ষতিগ্রস্ত হয় সেনার একটি ট্রাক।

কলম্বো থেকে উত্তরে ৩৬৫ কিলোমিটার দূরে বিসুভামাডু অঞ্চলের ঘটনা। গত কাল রাত থেকেই জ্বালানি সংগ্রহে লাইন দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছিল। সেই সময়েই প্রমাদ গুনছিলেন অনেকে। সেনার মুখপাত্র নিলান্ত প্রেমরত্নে জানিয়েছেন, সেখানে হঠাৎ উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হয়। ২০-৩০ জনের একটি দল পাথর ছুড়তে শুরু করে। ক্ষতিগ্রস্ত হয় সেনার একটি ট্রাক। পরিস্থিতিনিয়ন্ত্রণে আনতে গুলি চালাতে বাধ্য হয়েছে সেনা।

পুলিশ সূত্রে খবর, সেনার তরফে গুলি চালানো শুরু হতেই ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় বিক্ষোভকারীরা। তবে এই ঘটনায় আটজন সাধারণ নাগরিক এবং তিন জন সেনা আহত হয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, ওই পাম্পটিতে পেট্রল শেষ হয়ে গিয়েছিল। তার পরেই মোটরবাইকের আরোহীরা প্রতিবাদ শুরু করেন। সেখান থেকেই পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ রূপ নেয়। বিক্ষোভকারীরা পাথর ছুড়তে শুরু করেন। প্রসঙ্গত, শ্রীলঙ্কার আর্থিক সঙ্কট এতটাই বেহাল যে, বিদেশ থেকে প্রয়োজন মতো জ্বালানি আমদানি করতে অপারগ প্রশাসন। বাড়ন্ত ওষুধ, খাবারও। এই পরিস্থিতিতে ভারত এবং আরও কিছু দেশ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেও প্রয়োজনের তুলনায় তা সামান্যই। গত কালের ঘটনা ফের সেইইঙ্গিত দিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *