Kadamtala : চিকিৎসায় গাফিলতিতে শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ কদমতলা হাসপাতালে

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৭ জুন৷৷ কথায় আছে চিকিৎসক  ভগবানের আরেক রূপ৷ কিন্ত কদমতলা সামাজিক হাসপাতালের এক চিকিৎসকের  ভূমিকা নিয়ে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে৷ চিকিৎসকের নাম দীপাল চাকমা৷ঐ চিকিৎসকের  গাফিলতির কারণে একটি তিন বছরের  শিশুর জীবনদীপ নিভে যায় বলে মৃতার পরিবার পরিজনদের অভিযোগ৷এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি সংঘটিত হয়েছে বৃহস্পতিবার রাত এগারোটা নাগাদ উত্তর ত্রিপুরা জেলার কদমতলা সামাজিক হাসপাতালে৷ 

জানা গেছে চুরাইবাড়ি এলাকার বাসিন্দা গৌতম দেবের তিন বছরের কন্যা সন্তানটিকে আচমকা শ্বাস কষ্ট জনিত সমস্যা নিয়ে বৃহস্পতিবার রাত এগারোটা নাগাদ কদমতলা সামাজিক হাসপাতালে নিয়ে আসে শিশুটির মা বাবা সহ আত্মীয় পরিজনরা৷ তখন সামাজিক হাসপাতালে দুজন চতুর্থ শ্রেণীর স্বাস্থ্য কর্মী কর্তব্য পালন করছিলেন৷ কিন্তু বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকেই ডাঃ দীপাল চাকমার ডিউটি ছিল বলে জানা যায়৷ আশ্চর্যের বিষয় হলো, চিকিৎসক বাবু  ডিউটি ফাঁকি দিয়ে নিজ কোয়াটারে বেশ আরামেই ঘুমুচ্ছিলেন৷ তখন শিশুটির আত্মীয়রা ইমারজেন্সিতে অসুস্থ মেয়েটিকে নিয়ে গেলে চতুর্থ শ্রেণীর দুই স্বাস্থ্য কর্মী জানান,ডাক্তার বাবু কোয়াটারে৷ তখন চিকিৎসককে ডেকে দেবার অনুরোধ করলে প্রায় কুড়ি থেকে ত্রিশ মিনিট সময় পার হতে যায়৷ যতো সময় গড়াতে থাকে ততোই শিশুটির শারিরীক অবস্থা অবনতি ঘটতে থাকে৷ তবুও চিকিৎসকের পাত্তা না পেয়ে রোগীর এক আত্মীয় ঐ  চিকিৎসককে কাকুতি মিনতি করে কোয়াটার থেকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন৷ ততক্ষণে তিন বছরের শিশু কন্যাটির জীবনদীপ নিভে যায়৷ শিশুটির মৃত্যুতে হাসপাতালেই কান্নার রোল পড়ে মা বাবা সহ আত্মীয় পরিজনের৷

মৃত শিশুর আত্মীয় পরিজনদের অভিযোগ ,যদি চিকিৎসক হাসপাতালে থাকতেন তাহলে তাদের মেয়ে বেঁচে যেত৷ তারা আরো অভিযোগ করে বলেন,এতবড় একটি হাসপাতাল আর সেই হাসপাতালে চিকিৎসকের বদলে দুই চতুর্থ শ্রেণীর স্বাস্থ্য কর্মী দিয়ে চলে রাতের পরিষেবা৷ এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে আসে কদমতলা থানার পুলিশ৷ অপরদিকে বিভিন্ন মহলের অভিযোগ,বর্তমান উন্নয়নমুখী কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরকে উন্নত করতে দিন রাত একাকার করে যাচ্ছে৷ অভিযোগ, গুনধর চিকিৎসক দীপাল চাকমা সরকারি দায়িত্ব কামাই করে সাদা রঙের একটি বিলাস বহুল টাটা গাড়ি নিয়ে দিনরাত বিভিন্ন ফার্মেসি ও ক্লিনিকে চেম্বার করে বেড়ান৷ আর সেই অভিযোগ ছিল দীর্ঘদিনের৷ যার বহিঃপ্রকাশ ঘটলো বৃহস্পতিবার রাতে৷ 

সূত্রের খবর,কদমতলা সামাজিক হাসপাতালে রাতে কোন রোগী গেলে পরিষেবা পাওয়ার আসায় ঘন্টার পর ঘন্টা চিকিৎসকের অপেক্ষায় বসে থাকতে হয়৷ এমনকি রাতে নাকি হাসপাতালে রঙ্গিন নেশার আসরও বসে৷ তবে ঐ চিকিৎসক আমতা আমতা করে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে চায়৷ অভিযোগ,এর পূর্বেও কদমতলা হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে গিয়ে রোগীর মৃত্যু হয়েছিল৷ পরবর্তীতে যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দায়ভার রোগীর আত্মীয়দের উপর চাপিয়ে দেয়৷তবে দাবি উঠছে ঐ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করুক স্বাস্থ্য দপ্তর৷

কাকড়াবনে মা ও ছেলের ফাঁসিতে ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার
নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৭ জুন৷৷ পারিবারিক ঝামেলাকে কেন্দ্র করে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করল মা ও ছেলে৷ ঘটনা উদয়পুর মহকুমার কাকড়াবন থানার অন্তর্গত দুধপুস্কনি ৩ নাম্বার ওয়ার্ড এলাকায়৷ মৃত মা হল করোনা বালা দাস(৩৮)এবং ছেলে রঞ্জন দাস(১৭)৷ 

ঘটনার বিবরণে জানা যায় ,শুক্রবার সকালে এলাকার লোকজনরা দেখতে পায় একটি কাঁঠাল গাছে মধ্যে মা ও ছেলের দেহ ঝুলে রয়েছে৷ লোকজনরা জোড়া মৃতদেহ দেখতে পেয়ে চিৎকার শুরু করলে এলাকার অন্যান্য লোকজনরা এসে সাথে সাথে খবর দেয় কাঁকড়াবন থানায়৷ কাঁকড়াবন থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মা ও ছেলের মৃত্যুদেহটি উদ্ধার করে গোমতী জেলা হাসপাতালের মর্গে নিয়ে যাওয়া হয়৷ 

এদিকে এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়,পারিবারিক বিবাদকে কেন্দ্র করে ফাঁসিতে আত্মহত্যা করল মা ও ছেলে৷  মৃত দেহগুলি ময়না তদন্তের জন্য গোমতী জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়৷ ময়না তদন্তের পর মা ও ছেলের মৃতদেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়৷ এদিকে কাঁকড়াবন থানার পুলিশ একটা মামলা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে৷ সাতসকালে মা ও ছেলের মৃত্যু দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র দুধপুস্কনি এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে৷

সোনামুড়ায় আগুনে পুড়ল দোকানঘর
নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৭ জুন৷৷  প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যেই ভয়াবহ অগ্ণিকান্ডে ভস্মীভূত হয়ে গেল সোনামুড়ার আড়ালিয়া গ্রামের দোকান৷ জানা যায় বৃষ্টির দিনেও আড়ালিয়ায় ঘটেছে অগ্ণিকান্ড৷ চান মিয়ার বাড়িতে নিজস্ব দোকান ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে৷ ক্ষতির পরিমাণ লক্ষাধিক টাকা৷ ঘটনার বিবরণে জানা যায়, শুক্রবার আনুমানিক ১টা নাগাদ সোনামুড়া থানাধীন আড়ালিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ৬ নং ওয়ার্ডের চান মিয়ার বাড়ির পাশের দোকানে হঠাৎ আগুন দেখতে পায় পথচারীরা৷ বাড়িতে ছিলনা কেউই৷ আশংকা করা হচ্ছে বিদ্যুৎ এর সর্ট সার্কিট থেকে এই অগ্ণিকান্ড সংঘটিত হয়েছে৷ অগ্ণিনির্বাপক দপ্তরের কর্মীরা আসার আগেই পুড়ে ছাই হয়ে যায় দোকানটি৷ অল্পের জন্য রক্ষা পেল বসত ঘরটি৷