CPIM : খোয়াইয়ে জিএমপির সভা অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৯ মে৷৷ খোয়াই মহকুমা ভিত্তিক সিপিআইএম খোয়াই জেলা কার্যালয়ের হলঘরে আয়োজিত হয় কনভেনশন৷বুধবার খোয়াইয়ে জি এম পি -র এক সাড়া জাগানো সাংগঠনিক কনভেনশনে মহকুমার বিভিন্ন অনল থেকে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক জি এম পি -র বিভিন্ন স্তরের নেতা কর্মী ও সংগঠকেরা এদিনের কনভেনশনে উপস্থিত ছিলেন৷সংবিধানের ১২৫ তম সংশোধনীর মাধ্যমে এ ডি সি কে সপ্তম তপশিল থেকে অষ্টম তপশিলে অন্তর্ভুক্ত করে ত্রিপুরা অটোনোমাস টেরিটোরিয়াল কাউন্সিল গঠন সহ অন্যান্য দাবীর ভিত্তিতে আগামী ১১ই জুন জি এম পি-র ডাকে আগরতলায় রাজভবন অভিযান৷এই কর্মসূচীর প্রচার প্রস্তুতির অংগ হিসেবেই এদিনের বিভাগীয় সাংগঠনিক কনভেনশনের আয়োজন৷

কনভেনশনে উপস্থিত ছিলেন সি পি আই এম রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য তথা জি এম পি -র কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রাধাচরণ দেববর্মা, জি এম পি-র কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি রনিৎ দেববর্মা , সহ সম্পাদক পদ্ম কুমার দেববর্মা ও সংগঠনের বিভাগীয় সম্পাদক সুবোধ দেববর্মা৷সভাপতি ছিলেন বিশ্ব রঞ্জন দেববর্মা৷কনভেনশনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাধাচরণ দেববর্মা বলেন,যারা গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ডের শ্লোগান দিয়ে উপজাতি জনগোষ্ঠীর একটা অংশকে বিভ্রান্ত করে এ ডি সি দখল করেছে, তারা আসলে উপজাতিদের সার্বিক স্বার্থ রক্ষার জন্য এই শ্লোগান তুলেনি৷আই পি এফ টি -র মতো তিপ্রা মথাও উপজাতি দরদী৷সহজ সরল উপজাতিদের বিভ্রান্ত করে নিজেদের গোছাতেই ওরা গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ডের অবাস্তব ও অলীক শ্লোগান আমদানী করেছে৷এটা সুবিধাবাদী রাজনীতি ছাড়া আর কিছুই নয়৷গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ডের শ্লোগানধারীরা মুখরোচক শ্লোগান দিয়ে রাজ্য দখলের দিবাস্বপ্ণ দেখছে৷আসলে বি জে পি – র পালে হাওয়া তোলাই এদের উদ্দেশ্য৷কারণ ব্যাক্তিগত আরাম আয়েসেই ওরা আগামীদিন পার করতে চায়৷এদের ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে হবে সাংগঠনিক শক্তিতে৷

তিনি বলেন , আমরা চাই এ ডি সি আরো শক্তিশালী হোক৷এজন্যই এ ডি সি এলাকায় অটোনোমাস টেরিটোরিয়াল কাউন্সিল গঠন করার দাবী তুলেছে জি এম পি৷টেরিটোরিয়াল কাউন্সিল গঠন করা গেলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রকগুলো থেকে অর্থ বরাদ্দ হবে৷আর বরাদ্দ করা অর্থ আসলে তা উপজাতি এলাকায় উন্নয়নের জন্য ব্যায় করবে এ ডি সি৷এজন্যই আমরা সংবিধানের ১২৫ তম সংশোধনীর দাবী তুলেছি৷ যা কার্য্যাকরী করা গেলে এ ডি সি – র হাতে অধিক ক্ষমতা যাবে৷আমরা তো শুরু থেকেই এ ডি সি -র হাতে অধিক অর্থ ও ক্ষমতার দাবী করছি৷রাধাচরণ দেববর্মা বলেন, এটা মনে রাখতে হবে যে, আরো অনেকেই অতীতে এ ডি সি কে শক্তিশালী করার দাবী তুলেছে৷কিন্তু সরকারে যাওয়ার পর আর তা তাদের মনে থাকেনা৷যেমন আই পি এফ টি এখন জোট সরকারের শরিক হয়ে তিপ্রাল্যান্ডের দাবীর কথা ভুলে গেছে৷শুধু ব্যাক্তিগত লাভালাভ আর বাড়ী গাড়ি আরাম আয়েস নিয়েই ব্যাস্ত৷

উপজাতি এলাকায় কাজ খাদ্যের সংকট৷জীবন জীবিকার দুর্বিষহ অবস্থা৷শিক্ষা ব্যাবস্থা ভেঙে পড়েছে৷এসব নিয়ে তো আই পি এফ টি-র দুই মন্ত্রীর মুখে কোন রা নেই৷তিপ্রা মথাও একই পথের পথিক৷আজ গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ডের শ্লোগান তুলে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে৷অভিজ্ঞতা কি বলছে? এ ডি সি তো দখল করেছে মথা৷কোথায় এ ডি সি -র কাজ? কোথাও তো এ ডি সি -র অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না৷মানুষের জন্য কি করছে ওরা?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *