দেহরাদূন, ৩ মে (হি. স.) : শুভসূচনা হয়ে গেল চারধাম যাত্রার, পুণ্যার্থীদের জন্য উন্মুক্ত হয়ে গেল গঙ্গোত্রী ও যমুনোত্রী মন্দিরের কপাট। মঙ্গলবার অক্ষয় তৃতীয়ার শুভক্ষণে উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে গঙ্গোত্রী ও যমুনোত্রী মন্দিরের কপাট। এদিন সকালে গঙ্গোত্রীধামে উপস্থিত হয়ে যাত্রার সূচনা করেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি। তিনি মন্দিরে পুজোও দেন। একইসঙ্গে যমুনোত্রী মন্দিরের দরজাও এদিন থেকে খুলে দেওয়া হয়।
এবার কেদারনাথ ও বদ্রীনাথ মন্দির উন্মুক্ত হওয়ার অপেক্ষা। আগামী ৬ মে পুনরায় উন্মুক্ত হতে চলেছে কেদারনাথ মন্দিরের কপাট। পুন্যলগ্ন সকাল ৬.২৫ মিনিট, ওই সময়ই খুলে দেওয়া হবে কেদারনাথ মন্দিরের কপাট। এরপর ৮ মে ভক্তদের জন্য খুলে দেওয়া হবে বদ্রীনাথ মন্দির। চারধাম যাত্রার জন্য সারা বছর অপেক্ষা করে থাকেন দেশের বিভিন্ন রাজ্যের পুণ্যার্থীরা। অবশেষে প্রতীক্ষিত সেই দিন এসে গিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল থেকেই যমুনোত্রী মন্দির ও গঙ্গোত্রী মন্দিরে উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, চারধাম যাত্রার জন্য ৩ মে থেকে ৩১ মে পর্যন্ত এক লক্ষের বেশি রেজিস্ট্রেশন করেছেন পুণ্যার্থীরা। এদিন যমুনোত্রী ও গঙ্গোত্রী মন্দির খুলে যাওয়ার পর রীতি মেনে পূজার্চনা করা হয়েছে।

উত্তরাখণ্ড সরকার জানিয়ে দিয়েছে, চারধাম যাত্রায় যেতে গেলে কোভিড নেগেটিভ রিপোর্ট অথবা সম্পূর্ণ টিকাকরণের সার্টিফিকেট সঙ্গে রাখতে হবে। এদিন গঙ্গোত্রী মন্দিরে পুরোহিতদের সঙ্গেও কথা বলেন ধামি। পুণ্যার্থীদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, সেদিকে সরকার খেয়াল রাখবে বলে আশ্বস্ত করেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রতিবছর গঙ্গোত্রী, যমুনোত্রী, কেদারনাথ ও বদ্রীনাথ মন্দিরে লাখো মানুষের সমাগম হয়। কিন্তু, কোভিড পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এবছর ভক্ত-সংখ্যায় নিয়ন্ত্রণ আনা হয়েছে। গঙ্গোত্রীতে দিনপ্রতি ৭ হাজার এবং যমুনোত্রীতে ৪ হাজার পুণ্যার্থীকে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হবে। বদ্রীনাথে সেই সংখ্যাটা হল ১৫ হাজার এবং কেদারনাথে ১২ হাজার ভক্ত দর্শন করতে পারবেন। হিন্দুধর্ম অনুসারে এই অক্ষয় তৃতীয়ার দিনেই ভগীরথ শিবের জটা থেকে গঙ্গাকে মর্ত্যে নিয়ে এসেছিলেন।