শিলং, ১৮ ফেব্রুয়ারি (হি. স.) : আচমকা ভাঙনের সম্ভাবনা মেঘালয় তৃণমূলে। মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী তথা এনপিপি প্রধান কনরাড সাংমার মন্তব্যে তেমন ইঙ্গিতই মিলেছে। তাঁর কথা সত্যি প্রমাণিত হলে প্রধানবিরোধী দলের মর্যাদা হারাতে চলেছে তৃণমূল ।
দলবদলের রাজনীতিতে বিধানসভা ভোটে একটি আসনে না জিতেও মেঘালয়ে প্রধান বিরোধী দলের মর্যাদা পেয়েছিল তৃণমূল। নভেম্বরে ১২ জন বিক্ষুব্ধ কংগ্রেস বিধায়ক যোগ দিয়েছিলেন জোড়াফুল শিবিরে। এই দলবদলকে স্বীকৃতি দেন মেঘালয় বিধানসভার স্পিকার। যার ফলে রাতারাতি মেঘালয়ে প্রধান বিরোধী দলের মর্যাদা পেয়েছিল তৃণমূল। মাস কয়েক ভালোই চলছিল। তবে আচমকা ভাঙনের সম্ভাবনা মেঘালয় তৃণমূলে। মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী তথা এনপিপি প্রধান কনরাড সাংমার মন্তব্যে তেমন ইঙ্গিতই মিলেছে। মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, বিরোধী দল তৃণমূলের অনেক বিধায়কই ন্যাশানাল পিপলস পার্টিতে যোগ দেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন। শুধুমাত্র গারো পাহাড় থেকে নয়, খাসি এবং জয়ন্তিয়া পাহাড় থেকেও তৃণমূলের নেতারা তাঁর কাছে এসেছেন। দলবদলের ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন। একসঙ্গে কাজ করতে চেয়েছেন। কনরাডের দাবি, মেঘালয় তৃণমূলের মধ্যে অনেক ফাটল দেখা দিয়েছে। এটা অবাক হওয়ার মতো বিষয় নয়। শুধু তৃণমূলই নয়, আগামী দিনে অন্যান্য দলে ছেড়েও বিভিন্ন নেতারা এনপিপিতে যোগ দেবেন।
২৫ নভেম্বর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমা সহ ১১ জন কংগ্রেস বিধায়ক দলত্যাগ করে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। এর জেরে এক ধাক্কায় বিধায়কের সংখ্যা কমে যায় কংগ্রেসের। বিধায়কের সংখ্যা ৫-এ নেমে আসায় মেঘালয়ে বিরোধী দলের মর্যাদা হারায় কংগ্রেস। এদিকে রাতারতি শূন্য থেকে তৃণমূলের বিধায়ক সংখ্যা দাঁড়ায় ১২। জোড়াফুল শিবিরের তরফে মেঘালয়ের স্পিকারের কাছে তৃণমূলকে বিরোধী দলের মর্যাদা দেওয়ার আবেদন জানানো হয়। স্পিকারের মত দিলে ৬০ সদস্যের বিধানসভায় প্রধান বিরোধী দলের মর্যাদা পায় তৃণমূল।