Sonamura-Daudkandi : সোনামুড়া-দাউদকান্দি নদীপথে বাংলাদেশের সাথে যোগাযোগের উন্নয়নে ২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করবে কেন্দ্র : কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সর্বানন্দ

আগরতলা, ১৫ ফেব্রুয়ারি (হি. স.) : ত্রিপুরায় নদীপথে যোগাযোগের বিস্তারে আগ্রহী কেন্দ্রীয় সরকার। তাই, বাংলাদেশের সাথে নদীপথে যোগাযোগ স্থাপনে অর্থ বরাদ্দ করবে ভারত সরকার। আজ কেন্দ্রীয় বন্দর, জাহাজ এবং নৌপথ মন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়াল ঘোষণা দিয়েছেন, ত্রিপুরার সোনামুড়া থেকে বাংলাদেশের দাউদকান্দি পর্যন্ত নদীপথে যোগাযোগ স্থাপনে গোমতি নদীতে ড্রেজিংয়ের জন্য ২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হবে। তাতে ১০ জেটি গড়ে তুলা সম্ভব হবে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কথায়, নয়া উদ্যোগ আন্তর্জাতিক পণ্য পরিবহণকে চাঙ্গা করে তুলবে।


তাঁর কথায়, নদীপথে যোগাযোগ স্থাপনে নতুন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। তাতে, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে আন্তর্জাতিক পরিবহণ শক্তিশালী হলে। ফলে, দুই দেশের মধ্যে কার্গো ভেসেল, যাত্রী ভেসেল এবং রিভার ক্রুস যাতায়াত সহজেই সম্ভব হবে। তিনি বলেন, আজ ত্রিপুরা সরকার, অভ্যন্তরীণ নৌপথ কর্তৃপক্ষ এবং ল্যান্ড পোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার মধ্যে মৌ সাক্ষরিত হয়েছে। শ্রীমন্তপুড়ে অভ্যন্তরীণ নৌপথ টার্মিনালের সংস্কার এবং উন্নয়নে ওই মৌ সাক্ষরিত হয়েছে। ওই প্রকল্পে গোমতি নদীর উপর দশটি জেটি নির্মাণ করা হবে। তার জন্য ২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হবে, বলেন তিনি। এদিন তিনি আরও জানান, অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহণে ত্রিপুরায় অন্য নদীগুলিতে হাইড্রলিক সার্ভে করা হবে।


এদিকে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আজ আয়ুষ মন্ত্রকের আধিকারিকদের সাথেও বৈঠক করেছেন। বৈঠকে আলোচ্য বিষয় সম্পর্কে তিনি বলেন, ত্রিপুরায় ৫০টি হেল্থ এন্ড ওয়েলনেস সেন্টারের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সাথে তিনি যোগ করেন, ৫০ শয্যা বিশিষ্ট আয়ুষ হাসপাতাল খুব শীঘ্রই খুলবে ত্রিপুরায়।


এদিন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব বলেন, ওই নতুন প্রকল্পের অধীন সোনামুড়া থেকে উদয়পুর ৪০ কিলোমিটার নদীপথে গোমতির উপর ১০টি জেটি নির্মাণ করা হবে। তাছাড়া, সোনামুড়া থেকে দাউদকান্দি ৯০ কিলোমিটার নদীপথে ৪০ কিলোমিটার জুড়ে ড্রেজিং করা হবে। কেন্দ্রীয় সরকার তার জন্য খরচ বরাদ্দ করতে সম্মতি জানিয়েছে। তাঁর মতে, কেন্দ্রীয় সরকার দেও এবং হাওড়া নদী দিয়ে যাতায়াতের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখবে। ওই দুইটি নদীতে স্থায়ীভাবে ড্রেজিংয়ের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। তাতে, বর্ষার সময় বন্যা পরিস্থিতি থেকে মুক্তি মিলবে, আশা প্রকাশ করে বলেন তিনি। তাঁর দাবি, নৌপথে যোগাযোগ স্থাপন হলে স্টিল এবং সিমেন্ট আমদানি অনেক কম খরচে সম্ভব হবে। সাথে প্রচুর পরিমানে গম বাংলাদেশে রপ্তানি সম্ভব হবে। তাতে, সকলেই উপকৃত হবেন। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *