আগরতলা, ৮ ফেব্রুয়ারি (হি. স.) : সিপিএমের সাথে মিতালীর সরাসরি অভিযোগ এনে ২০১৬ সালে ত্রিপুরায় কংগ্রেস ছেড়েছিলেন সুদীপ রায় বর্মণ। সাথে তাঁর পদাঙ্ক অনুসরণ করেছিলেন আরও পাঁচ কংগ্রেস বিধায়ক। আজ সম্ভবত সেই নীতি ও আদর্শের সাথে আপোষ করেই কংগ্রেসে ফিরে গেলেন সুদীপ বাবু। সাথে রয়েছেন তাঁর ঘনিষ্ঠ আশীষ কুমার সাহা। দিল্লিতে এআইসিসি সদর কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে সুদীপ সাফ জানালেন, কংগ্রেস তাঁর ডিএনএ-তে রয়েছে। তাই রাহুল গান্ধীকে বলেছেন, কংগ্রেস ছেড়ে পাপ করেছেন, ত্রিপুরায় ২০২৩ বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের সরকার গঠনের মধ্য দিয়ে তার প্রায়শ্চিত্য করবেন।
এদিন তিনি বিজেপির বিরুদ্ধে তীব্র ভাষায় বিষোদগার করে বলেন, ২৫ বছরের বাম শাসনের অবসানে ত্রিপুরায় নতুন সূর্যোদয় হবে ভেবেছিলাম। কিন্ত, প্রত্যাশার ধারেকাছেও নেই বর্তমান সরকার। তাঁর দাবি, প্রতিশ্রুতি পূরণ করা হচ্ছে না। উল্টে প্রত্যেক নির্বাচন প্রহসনে করেছে বিজেপি জোট সরকার। তাই, বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তাঁর দাবি, ত্রিপুরায় ২০১৮ বিধানসভা নির্বাচনের পূর্বে ১.৫৭ শতাংশ ভোটের হার ছিল বিজেপির। আমরা বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় কংগ্রেসের ভোট বিজেপি পেয়েছে এবং বামেদের উত্খাত করে ক্ষমতা দখল নিয়েছে। তিনি জানান, রাহুল গান্ধীকে বলেছি, কংগ্রেস ছেড়ে পাপ করেছি। ২০২৩ বিধানসভা নির্বাচনে ত্রিপুরায় কংগ্রেসের সরকার গঠনের মধ্য দিয়ে তার প্রায়শ্চিত্য করব।
এদিন আশীষ কুমার সাহা বলেন, ২৫ বছরের বাম শাসনের অবসানে মানুষের প্রত্যাশা পূরণে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলাম। গত সাড়ে চার বছরে কখনো মনে হয়নি ত্রিপুরায় গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তাঁর দাবি, বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের ত্রিপুরার পরিস্থিতি সম্পর্কে বার বার জানিয়েছি, বোঝানোর চেষ্টা করেছি। কিন্ত, সমস্ত চেষ্টা বিফলে গিয়েছে। তাই, বিজেপি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এদিকে, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বীরজিত পুরনো সাথীদের ফিরে পেয়ে ভীষণ খুশি বলে জানিয়েছেন।