Smashed : খোয়াইয়ে বৃষ্টিতে ভেঙে পড়লে ছাউনি, মাটিতে মিশে গেল পাঁচ লক্ষাধিক টাকার শত শত সরস্বতীর মূর্তি

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৬ ফেব্রুয়ারী৷৷ বৃষ্টিতে ভেঙে চুড়মার টিনের অসায়ী ছাউনি৷ সারারাতের অবিরাম ধারায় গলে গলে শেষ হয়ে গেল কমকরেও পাঁচ ছয় লক্ষ টাকার সরস্বতী প্রতিমা৷ সর্বস্বান্ত মৃৎশিল্পীদের মাথায় হাত৷ এক্ষতি কি করে যে পুষিয়ে নেবে, এখন তা ভেবেই আকুল গরীব মৃৎশিল্পীরা৷ ঘটনা খোয়াই শহরের প্রাণকেন্দ্র সুভাষপার্কের বইমেলার মাঠে৷ নায্য ভাড়া দিয়ে স্থানীয় মৃৎশিল্পীরা পুর পরিষদের মালিকানাধীন বইমেলার মাঠে পুর পরিষদেরই বানিয়ে দেওয়া অস্থায়ী টিনের ছাউনির নীচে সরস্বতী প্রতিমা রেখেছিলেন বিক্রির উদ্দেশ্যে৷ শুক্রবার টানা বৃষ্টিতে অনেকেই এদিন সরস্বতী প্রতিমা পূজো প্যান্ডেলে নিয়ে যেতে পারেননি৷ মৃৎশিল্পীদের আশা ছিল যে, শনিবারের সকালে ঝলমলে রোদে এখান থেকে অনেকেই হয়তো বা প্যান্ডেলে নিয়ে যাবেন বাগদেবীর প্রতিমা৷অনেকেই আবার দেড় দুই হাজার টাকার বায়নাও করে যান৷ কিন্তু শুক্রবারের রাতের বৃষ্টিতেই অস্থায়ী টিনের ছাউনি আর মাথা তুলে দাঁড়িয়ে থাকতে পারেনি৷নুইয়ে পড়লো পুরো ঘর৷চোখের সামনে হুড়মুড় করে গেল ভেঙে৷ আর পাঁচ ছয় লক্ষ টাকার মাটির প্রতিমা গলে গলে মিশে গেল মাটিতে৷ শনিবারদিন সকালে বিক্রির জন্য আর রইলো না কোন মূর্তি৷ব ায়না করে রাখা ব্যক্তিরা গাড়ি রিজার্ভ করে এসেছিলেন সরস্বতীর মূর্তি নিয়ে ঘরে ফিরবেন বলে৷কিন্তু সে আশা আর বাস্তবের মাটি স্পর্শ করতে পারলো না৷ গচ্ছা গেল তাদের টাকা৷শেষ পর্য্যন্ত বায়নার টাকা অর্ধেক ফিরিয়ে দিতে বাধ্য হলেন মৃৎশিল্পীরা৷অনেকের বাড়ী ঘরে আর বাগদেবীর আরাধনা হলোই না৷অনেক ক্লাবে বা সুকলেও হলো না পূজা৷ সবাই বিফল মনোরথ৷ অভিযোগ উঠলো পুর পরিষদের খামখেয়ালিপনার৷ প্রতিমা রাখার জন্য নায্য ভাড়া নিয়ে পুর পরিষদ যে অস্থাায়ী টিনের ছাউনি বানিয়ে দিয়েছিলসেটি নাকি নড়বড়ে গোছের ছিল বলে অভিযোগ মৃৎশিল্পীদের তরফে৷অনেকটাই দায়সারা গোছের করে বানিয়ে দেওয়া ছাউনি বাতাসহীন বৃষ্টির দাপটই সহ্য করতে পারেনি বলে জানান মৃৎশিল্পীরা৷ আলোর দিশারী নামের একটি স্বসহায়ক দল ও অন্য আরো সাতজন মৃৎশিল্পী নিজেদের দক্ষ হাতে অপরুপ শিল্প সুষমায় রঙ তুলির আঁচড়ে প্লতিমা গড়ে রেখেছিলেন পুর পরিষদের বানিয়ে দেওয়া ছাউনিতে৷ কিন্তু হলো না আর রুজি রোজগার৷মাটির প্রতিমা বৃষ্টির জলে গলে ধুয়ে মিশে গেল মাটিতেই৷মাটি আর মূর্তি আলাদা করে চেনাই যেন দায়৷ মৃৎশিল্পীরা জানান, পূজো পার্বনে মাটির প্রতিমা বেচেই তো চলে অভাবের সংসার৷ জিনিসপত্রের দামও বেড়েছে অনেকটা৷পরিশ্রম তো আছেই৷একটু দাম বাড়লেই কথা উঠে খদ্দেরদের তরফ থেকে৷কেউ বুঝতে চায় না শিল্পীদের মনের দুঃখ কষ্ট আর নিদারুণ জীবন যন্ত্রণার মর্মব্যাথা৷তাদের যেন উপলব্ধিরর মধ্যেই নেই বিষয়টি৷এখন ব্যাবসার এই ভরা মরশুমে তাদের ক্ষতি কে পুষিয়ে দেবে? এই চিন্তা ভাবনাতেই মাথায় হাত মৃৎশিল্পীদের৷ এখন তাদের এই ক্ষতি পুষিয়ে দিতে সহায়তা করুক সরকার৷এমনটাই দাবী ক্ষতিগ্রস্ত মৃৎশিল্পীদের৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *