নিজস্ব প্রতিনিধি, ধর্মনগর, ২৯ আগস্ট।। পার্বত্য ছোট্ট ত্রিপুরা রাজ্যটি বর্তমানে ভারতবাসীর কাছে পরিচিতি লাভ করেছে। রয়েছে রাজ্যের বুকে বিভিন্ন পূর্ণ স্থান।পার্বত্য রাজ্যের রাজধানী আগরতলা শহরের পর দ্বিতীয় শহর অর্থাৎ বাণিজ্য শহর হিসেবে পরিচিত রয়েছে উত্তর জেলার সদর ধর্মনগর শহর। দীর্ঘ বাম শাসনকালে যেমন রাজ্যে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। তেমনি উত্তর জেলাকে বরাবরই দি মাতৃসুলভ বঞ্চিত করে রাখা হয়েছিল। কিন্তু ২০১৮ সালে রাজ্যে পরিবর্তনগামী বিজেপি আইপিএফটি জোট সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর রাজ্যজুড়ে যেমন উন্নয়নমূলক কর্মসূচি বাস্তবায়ন হয়েছে, তেমনি উত্তর জেলায় বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে।
উত্তর জেলার সদর ধর্মনগরে শত বছরের অধিক স্থাপিত ঐতিহ্যবাহী টাউন কালী বাড়ি অর্থাৎ বড় কালী বাড়ির দিঘীকে নতুন রূপ দিতে যাচ্ছে বর্তমান উন্নয়নমুখী সরকার। ধর্মনগর শহরের বুকে অবস্থিত প্রায় সাড়ে চার খানির অধিক দিঘীটির চতুর্দিকে ফেন্সিং ও বাউন্ডারি দিয়ে মুড়ে ফেলা হচ্ছে। বসানো হবে রকমারি লাইট। করা হচ্ছে কারুকার্যমন্ডিত দিঘী ঘাট। তাছাড়া আকর্ষণীয়ভাবে থাকবে কালি দিঘীর মধ্যবর্তী স্থানে ২১ ফুটের সুবিশাল মহাদেবের মূর্তি। সবকিছুর কাজও প্রায় অন্তিম লগ্নে।আগামী মহালয়ার পূর্ণ লগ্নে রাজ্যের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের হাত ধরে নতুন রূপে সজ্জিত হতে যাচ্ছে ধর্মনগর বড় কালী বাড়ির দিঘী। স্থানীয়দের মতে এই দিঘীটি ধর্মপ্রাণ দর্শনার্থীদের আকর্ষণ বাড়াতে সক্ষম হবে। অপরদিকে শহরের বুকে বেশকিছু সড়ক প্রসার করা হচ্ছে। যাতে করে শহরের যানজট দেখা না দেয়। এছাড়া বিশ্বকর্মা পুজোর পাক মুহূর্তে শহরের বুকের যতগুলি পোস্ট লাইট রয়েছে ,সেগুলো মেরামতি করে আলোয় সজ্জিত করে তোলা হবে ধর্মনগর শহরকে।
এদিকে রাজ্য বিধানসভার উপাধ্যক্ষ তথা ধর্মনগরের বিধায়ক বিশ্ববন্ধু সেন এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ধর্মনগর টাউন কালীবাড়ি অর্থাৎ বড় কালীবাড়ি দিঘীর ফেন্সিং বাউন্ডারি লাইটিং ও সুবিশাল শিবের মূর্তি দিয়ে দিয়ে যেভাবে দিঘীকে নতুন রূপে সজ্জিত করা হচ্ছে। ঠিক তেমনি ডিএনভি স্কুলের পাশে অবস্থিত ছোট কালী বাড়ির চার খানির উপর দিঘীটিকেও সংস্কার করে চতুর্দিকে ফেন্সিং বাউন্ডারি দিয়ে লাইটিং করে দর্শনার্থীদের জন্য একটি দর্শনীয় স্থান হিসাবে গড়ে তোলা হবে। তাছাড়া ধর্মনগর সুপারমার্কেটের কাজ প্রায় শেষ লগ্নে।দূর্গোৎসবের পূর্বেই স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যে সুষ্ঠভাবে বন্টন করা হবে সুপার মার্কেটের স্টলগুলি। যে সুপার মার্কেট পূর্বে গাঁজা মার্কেট অথবা ফেন্সি মার্কেট হিসেবে মানুষ জানতো।তাছাড়া শহরের বুকে রাস্তার দু’পাশ থেকে হকারদের পূর্ণ সংস্থান দিয়ে তোলা হবে।আর তাতে করে বাণিজ্য নগরী ধর্মনগর শহরের ব্যস্ততম সড়ক গুলিতে যানজট অনেকটা কমে যাবে।বিশ্ববন্ধু সেন আরো বলেন, ধর্মনগর বিবিআই স্কুলের পাশের সুইমিং পুলটি পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল।
সেটিকে সংস্কার করে চতুর্দিকে বাউন্ডারি দিয়ে লাইটিং করে নতুন সাজে সজ্জিত করা হয়েছে। তাছাড়া আগামী দিনে নয়াপাড়া মোটর স্ট্যান্ডকে বর্তমান স্থান থেকে সরিয়ে দিগলবাক সংলগ্ন পরিবহন দপ্তরের অফিসে নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।বিধায়ক বিশ্ববন্ধু সেন আরো বলেন, ধর্মনগর পুরো পরিষদের অধীন ধর্মনগর বাসীকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, আগামী ২০২৩ বিধানসভা নির্বাচনের পূর্বে উক্ত এলাকাতে কোন ধরনের মাটির রাস্তা থাকবে না। শহরের জল নিষ্কাশনের জন্য রাস্তার দুপাশে করা হয়েছে ড্রেইন।তিনি আরো বলেন,ধর্মনগর বিধানসভার অন্তর্গত গ্রামের রাস্তা গুলিতে বিভিন্ন স্কিমের মাধ্যমে পাকা রাস্তা তৈরি হয়েছে।সাথে পানীয় জলের সুব্যবস্থা রয়েছে প্রত্যেকটি গ্রামে।পরিশেষে বিশ্ববন্ধু সেন আরো বলেন,রাজ্য সরকার সাড়ে তিন বছরে গোটা উত্তর জেলার পাশাপাশি ধর্মনগর শহরে অনেক উন্নয়নমুখী কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে এবং আগামী দিনেও করবে।তবে সর্বোপরি উপাধ্যক্ষ তথা ধর্মনগরের বিধায়ক বিশ্ববন্ধু সেনের “গ্রীন ধর্মনগর,ক্লিন ধর্মনগর এবং লাভ ধর্মনগর” স্লোগানটি পূর্ণতা পেয়েছে।

