Farmers are deprived : সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে প্রতিনিয়ত বঞ্চিত হচ্ছেন কৃষকরা

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৭ জুলাই।। সরকার কৃষি উৎপাদনে গুরুত্ব আরোপ করে রাজ্যকে খাদ্যে স্বয়ং করে তোলার নানা প্রয়াস নিলেও প্রকৃত কৃষকরা সরকারি সুযোগ-সুবিধা কতটা পাচ্ছে সে সম্পর্কে মূল্যায়ন করা খুবই জরুরী। রাজ্য বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বর্গা চাষীরা কৃষি উৎপাদনের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করে চলেছেন। অথচ তারা সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে প্রতিনিয়ত বঞ্চিত হচ্ছেন।


কৃষকদের আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকার বিভিন্ন প্রকল্প চালু করেছে । কিন্তু সত্যিকারের বর্গা চাষী, ভাগ চাষী এবং ভূমিহীন কৃষকরা সরকারি বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।তেলিয়ামুড়া মহকুমার কৃষি তত্ত্বাবধায়ক অফিসের অধীনে এমন অনেক বর্গা চাষী আছেন যারা নিজেদের হাড় ভাঙ্গা কায়িক পরিশ্রম করেও বিভিন্ন সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত। অথচ জমির মালিক পক্ষ সর্বপ্রকার সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকেন। তাদের আর্থিক দিক দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন এসব বোরকা চাষীরা। শুধু তাই নয়, তেলিয়ামুড়া মহকুমায় গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো হয়ে দাঁড়িয়েছে বন্য দাঁতাল হাতির আক্রমণ। সব মিলিয়ে বর্গা চাষিরা মহা বিপাকে।


জানা যায়, বর্গাচাষী না সরকারি বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হওয়ায় কৃষি কাজ থেকে অনেকেই মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার চিন্তাভাবনা করছেন। তাতে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। প্রকৃত কৃষকরা কৃষি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলে রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকার কৃষি উৎপাদনের লক্ষ্যে যেসব পরিকল্পনা গ্রহণ করছে তার বাস্তবতা নিয়েও প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।তবে এ ব্যাপারে তেলিয়ামুড়া মহকুমা কৃষি তত্ত্বাবধায়ক রাজীব দে জানান, বর্গা চাষীদের উন্নতিকল্পে এস এস সি ক্যাম্প করানোর জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। তাছাড়া সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে সরকারের তরফ থেকে বর্গাচাষীদের কিষান ক্রেডিট কার্ড প্রদান করা হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।


অপরদিকে এক বর্গা চাষি জানান, কৃষি দপ্তর থেকে সার,বীজ সহ বিভিন্ন সাহায্য-সহযোগিতা তো পাওয়া দূরহস্ত, কৃষি দপ্তর থেকে কোন আধিকারিক বা কর্মী এসে কৃষকদের দুরবস্থারখোঁজ-খবর পর্যন্ত নেন না । অপর এক বর্গাচাষী আক্ষেপের সুরে জানান, সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে তারা বঞ্চিত। তার উপর গোদের উপর বিষফোড়ার মতো হয়ে দাঁড়িয়েছে বন্য দাতালের আক্রমণ। বন্য দাঁতালের দল হতদরিদ্র বর্গাচাষীদের উৎপাদিত কৃষিজ ফসল নষ্ট করে দেয়। ফলে তারা উৎপাদিত ফসল বাজারজাত করতে পারে না। কাজেই আইয়ের আশায় ফসলের বীজ বপন করলেও সঠিক মুনাফা পাওয়া যায় না। চাষাবাদ করতে গিয়েছে পরিমাণ টাকা খরচ হয় অনেক ক্ষেত্রে সেই টাকা ফসল বিক্রি করে গড়ে তোলা সম্ভব হয় না। সে ক্ষেত্রে সরকার কৃষকদের পাশে না দাঁড়ালে কৃষি উৎপাদন আগামী দিনে আরও কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *