বেঙ্গালুরু, ২৬ জুলাই (হি.স.): যাবতীয় জল্পনার অবসান, কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফাই দিয়ে দিলেন বি এস ইয়েদুরাপ্পা। সোমবার দুপুরে রাজভবনে গিয়ে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন ইয়েদুরাপ্পা, ইয়েদুরাপ্পার ইস্তফাপত্র গ্রহণও করেছেন রাজ্যপাল থাওয়ারচাঁদ গেহলট। পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী শপথ নেওয়া পর্যন্ত ইয়েদুরাপ্পাকে কেয়ারটেকার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে থেকে যেতে বলেছেন রাজ্যপাল। সূত্রের খবর, খুব শীঘ্রই একজন পর্যবেক্ষককে কর্ণাটকে পাঠাবে বিজেপি। আপাতত কেয়ারটেকার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কাজ চালিয়ে যাবেন ইয়েদুরাপ্পা। কর্ণাটকের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, তা কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ও রাজ্য নেতৃত্বই ঠিক করবে।
সোমবার দুপুরে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর ইয়েদুরাপ্পা জানিয়েছেন, “মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার জন্য কেউ আমার উপর চাপ সৃষ্টি করেনি। আমি নিজেই ইস্তফা দিয়েছি, যাতে অন্য কেউ মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন। আগামী নির্বাচনে বিজেপিকে পুনরায় ক্ষমতায় আনার জন্য আমি কাজ করব। আমার স্থলাভিষিক্ত কে হবেন, এমন কোনও নাম আমি দিইনি।” প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও জে পি নাড্ডাকে ধন্যবাদ জানিয়ে ইয়েদুরাপ্পা বলেছেন, “দু’বছরের জন্য কর্ণাটকের সেবা করতে দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডাজির প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। কর্ণাটকের জনগণ ও আমার কেন্দ্রের মানুষজনকেও অসংখ্য ধন্যবাদ। দু’দিন আগেই ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। রাজ্যপাল আমার ইস্তফাপত্র গ্রহণ করেছেন।” ইয়েদুরাপ্পা এদিন আরও বলেছেন, “আমার রাজ্য ছেড়ে যাওয়া নিয়ে কোনও প্রশ্নই নেই। কর্ণাটকের জনগণের কল্যাণে আমি কাজ চালিয়ে যাব।”
মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইয়েদুরাপ্পার ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্তে হতবাক রাজ্যের মন্ত্রী কে সুধাকর। তিনি বলেন, “আমি রীতিমতো হতবাক। তিনি আমাকে বলেছিলেন, ২৬ জুলাইয়ের মধ্যে হাইকমান্ডের কাছ থেকে অনুকূল সিদ্ধান্ত পেতে পারেন। আমাদের সকলকে দলের নিয়ম মেনে চলতে হবে। তিনি মুখ্যমন্ত্রী পদ ছাড়ছেন, সক্রিয় রাজনীতি ছাড়ছেন না।।” উল্লেখ্য, বিগত কিছু দিন কর্ণাটকের রাজনীতিতে একটিই গুঞ্জন চলছিল, ইয়েদুরাপ্পা মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিতে পারেন, সেই জল্পনাই সোমবার সত্যি হল।