ঢাকা, ৩০ ডিসেম্বর : ভারতের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্কের মধ্যে চরম টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়েছে। ঢাকা তার হাই কমিশনার এম. রিয়াজ হামিদুল্লাহকে তত্কাল ফিরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ও এক নতুন রাজনৈতিক অস্থিরতার সংকেত। বাংলাদেশী দৈনিক প্রথম আলো তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে যে, এই খবর প্রথমেই জানা যায় কূটনৈতিক সূত্র থেকে।
ঢাকার এই সিদ্ধান্ত এমন এক সময়ে নেওয়া হয়েছে, যখন ভারত এবং বাংলাদেশের সম্পর্ক কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে খুবই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। কূটনৈতিক সূত্রগুলি জানায়, হামিদুল্লাহ রোববার রাতে দিল্লি থেকে ঢাকায় ফিরেছেন। সরকারিভাবে এই পদক্ষেপকে “পরামর্শমূলক প্রত্যাহার” হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে, যা সাধারণত কূটনীতিতে সংযতভাবে পরিস্থিতি মোকাবেলার একটি শব্দবন্ধ। তবে, বাস্তবে এ ধরনের প্রত্যাহার সাধারণত সম্পর্কের মধ্যে অশান্তি বা আরও গভীর আলোচনা প্রয়োজন এমন সংকেত দেয়।
অফিসিয়াল বিবৃতির দাবি অনুযায়ী, হামিদুল্লাহকে সাম্প্রতিক ঘটনাগুলির বিষয়ে আলোচনা করার জন্য ঢাকা ফিরে আসতে বলা হয়েছে। কিন্তু এর সময়কাল এবং পরিস্থিতি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ, যা আরও বড় একটি চিত্র তুলে ধরে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে, দিল্লি এবং ঢাকা একে অপরকে কূটনৈতিকভাবে প্রতিবাদ জানিয়ে চলছে, একে অপরের কূটনীতিকদের বারবার ডেকে পাঠানো হচ্ছে।
সম্প্রতি, বিশেষত আগস্ট ২০২৪ সালে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে, দুই দেশের সম্পর্কের মধ্যে চাপ বেড়েছে। গত দুই সপ্তাহে সম্পর্কের উত্তেজনা আরো তীব্র হয়েছে।
ভারত বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে “গম্ভীর উদ্বেগ” প্রকাশ করেছে, বিশেষ করে ময়মনসিংহে এক হিন্দু যুবককে গণপিটুনির ঘটনায়। এর জবাবে, ঢাকা ভারতের হাই কমিশনারকে ডেকে ভারতীয় সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর দ্বারা বাংলাদেশের মিশনগুলির সামনে “সহিংস প্রতিবাদ” এর অভিযোগ তুলে প্রতিবাদ জানিয়েছে।
এই উত্তেজনা ও কূটনৈতিক চাপে সম্পর্কের ভবিষ্যত নিয়ে সংশয় সৃষ্টি হয়েছে, বিশেষত এ ধরনের কূটনৈতিক পদক্ষেপের সময়কাল বিবেচনায়।

