ঢাকা, ২৭ ডিসেম্বর : বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার নাতনি এবং বিএনপি’র কার্যত নেতা তারিক রহমানের কন্যা জায়মা রহমান ১৭ বছর পর প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশে ফিরে আসেন। তার এই প্রত্যাবর্তন একদিকে যেমন ব্যক্তিগত, তেমনি রাজনৈতিক দৃষ্টিতেও গুরুত্বপূর্ণ। গত সপ্তাহে ঢাকা বিমানবন্দরে তার আগমন এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার পোস্টগুলো ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়েছে।
একটি ফেসবুক পোস্টে জায়মা তার দাদু খালেদা জিয়াকে “দাদু” হিসেবে উল্লেখ করে, তার পরিবারের সঙ্গে পুরনো সম্পর্কের কথা স্মরণ করেন। এই পোস্টে তিনি জানালেন, তার মায়ের সঙ্গে একসাথে ২০০১ সালের নির্বাচনের সময় ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার স্মৃতি এখনও তার মনের মধ্যে জীবন্ত। ছোট বয়সে খালেদা জিয়ার অফিসে গিয়ে ফুটবল প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হওয়ার পর তার পদক দেখানোও একটি স্মরণীয় মুহূর্ত ছিল, যা তিনি ফেসবুকে শেয়ার করেছেন।
জায়মা, যিনি লন্ডনে ব্যারিস্টারি পড়াশোনা করেছেন, তার রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়নি, তবে তিনি তার বাবার পক্ষ থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করছেন। ২০২১ সালে আওয়ামী লীগের মন্ত্রী মুরাদ হাসান তার সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য করার পর জায়মা জনসমক্ষে আসেন। এর ফলে মুরাদ হাসানকে পদত্যাগ করতে হয় এবং তার বিরুদ্ধে মানহানির অভিযোগ আনা হয়।
এ বছর নভেম্বরে, জায়মা প্রথমবারের মতো বিএনপির রাজনৈতিক মিটিংয়ে অংশ নেন, যেখানে ইউরোপীয় প্রতিনিধি দলও উপস্থিত ছিল। তার এই রাজনৈতিক সক্রিয়তা বিএনপির জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে, বিশেষ করে আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নির্বাচনের প্রেক্ষিতে।
জায়মা রহমান ফেসবুকে তার একটি পোস্টে বলেন, “বাংলাদেশকে নতুনভাবে গড়ে তোলার জন্য আমি সর্বোচ্চ ভূমিকা পালন করতে চাই।” তিনি আরও বলেন, ১৭ বছর পর দেশে ফিরে আসার মাধ্যমে তিনি দেশটির বাস্তব পরিস্থিতি বুঝতে চান, যাতে জনগণের সঙ্গে সরাসরি সংযুক্ত হতে পারেন।
এছাড়া, জায়মা জানিয়েছেন যে তিনি তার দাদু খালেদা জিয়াকে সমর্থন করতে এবং তার বাবার নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে চান। তার ফিরে আসা এবং রাজনৈতিক সক্রিয়তা বাড়ানোর মাধ্যমে বিএনপির তরুণ প্রজন্মের মধ্যে নতুন একটি প্রেরণা তৈরি হতে পারে।
বর্তমানে জায়মা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কিংবা কোনও সাংগঠনিক পদে যোগ দেওয়ার কোনো ইচ্ছা প্রকাশ করেননি, তবে তার উপস্থিতি এবং রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে প্রকাশিত বক্তব্যগুলো পরবর্তীতে তার বড় ধরনের রাজনৈতিক ভূমিকার প্রতি ইঙ্গিত দিচ্ছে।

