একটা অনৈতিক জোট রাজ্যে শাসন করছে: বিরোধী দলনেতা
নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৪ ডিসেম্বর: ত্রিপুরা রাজ্যে বর্তমানে একটি অনৈতিক ও আদর্শগতভাবে বিভক্ত জোট সরকার চলছে বলে অভিযোগ তুললেন বিরোধী দলনেতা জিতেন্দ্র চৌধুরী। বুধবার আখাউড়া রোডে এক জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, রাজ্যের শাসক জোটে থাকা বিজেপি, তিপরা মথা ও আইপিএফটি—
এই তিন শরিক দলের নীতি ও অবস্থান সম্পূর্ণ ভিন্ন।
বিজেপি, তিপরা মথা এবং আইপিএফটি। এই তিন স্তম্ভের নীতি আলাদা। তিপরা মথা বলছে গ্রেটার তিপরাল্যান্ড, আইপিএফটি বলছে তিপরাল্যান্ড এবং বিজেপি বলছে নো-তিপরাল্যান্ড। অথচ বামফ্রন্টের চারটি রাজনৈতিক দল দীর্ঘ সময় ত্রিপুরা রাজ্যে সরকার পরিচালনা করলেও কোনদিন একদল অন্য দলের বিরুদ্ধে যায়নি। কিন্তু বর্তমানে শাসক ও শরিক একে অপরের বিরুদ্ধে সরব হচ্ছেন। এক জোট থেকেই এক অপরের বিরুদ্ধে কুৎসা রটাচ্ছে। ফলে বিভ্রান্ত হচ্ছে সাধারণ মানুষ বিশেষ করে জনজাতিরা।
এদিন আখাউড়া রোডস্থিত এলাকায় সিপিআই(এম) সদর মহকুমা কমিটির উদ্যোগে জনজীবনের জরুরি সমস্যাবলী আদায়ের সংগ্রাম জোরদার করা, রাজ্যে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার দাবিতে জনসভাটি অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিপিআই(এম)-এর রাজ্য সম্পাদক ও বিরোধী দলনেতা জিতেন্দ্র চৌধুরী সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিরোধী দলনেতা প্রশ্ন তোলেন, ভারতীয় জনতা পার্টির কোন নেতা যেভাবে সিপিআই(এম)-কে দেড় ঘন্টার মধ্যে শেষ করে দেবে তার তার জবাব চান তিনি। তিনি আরও বলেন, ২০১৮ সালে বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল, সেগুলির কী পরিণতি হয়েছে—তার উত্তর খুঁজছে সাধারণ মানুষ।
আচ্ছে দিন, সবকা সাথ সবকা বিকাশ, নতুন ত্রিপুরা—এই ধরনের স্লোগান তুলে যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, আজ বিজেপি নেতৃত্ব রাজ্যের মানুষের সামনে গিয়ে কিভাবে দাঁড়ায়, সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, বিজেপি সরকারের নতুন ত্রিপুরা মানে জনগণের প্রশ্নের কোনও জবাব না দেওয়া এবং নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণ না করা।
বক্তব্যের শেষে জিতেন্দ্র চৌধুরী বলেন, ত্রিপুরাকে বাঁচাতে হবে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ত্রিপুরা রাজ্যে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটেছে—এটি শুধু বিরোধীদের দাবি নয়, সাধারণ মানুষের অভিজ্ঞতাও তাই বলছে।

