নয়াদিল্লি, ১৭ ডিসেম্বর : ট্রেনে ভ্রমণের সময় বিনামূল্যের নির্ধারিত সীমার অতিরিক্ত লাগেজ বহন করলে যাত্রীদের চার্জ দিতে হবে। এ কথা বুধবার লোকসভায় জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।
লোকসভার সাংসদ ভেমিরেড্ডি প্রভাকর রেড্ডির এক প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী জানান, বিমানবন্দরের মতোই ট্রেনযাত্রীদের ক্ষেত্রেও লাগেজ সংক্রান্ত নির্দিষ্ট নিয়ম কার্যকর রয়েছে। লিখিত উত্তরে তিনি জানান, বর্তমানে যাত্রী যে শ্রেণিতে ভ্রমণ করেন, সেই অনুযায়ী কোচের ভেতরে বহনযোগ্য বিনামূল্যের সীমা ও সর্বোচ্চ অনুমোদিত সীমা নির্ধারিত আছে।
রেলমন্ত্রীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দ্বিতীয় শ্রেণির (সেকেন্ড ক্লাস) যাত্রীরা বিনা খরচে সর্বোচ্চ ৩৫ কেজি লাগেজ বহন করতে পারবেন। চার্জ দিয়ে সর্বোচ্চ ৭০ কেজি পর্যন্ত নেওয়া যাবে। স্লিপার ক্লাসে ফ্রি লাগেজ সীমা ৪০ কেজি এবং সর্বোচ্চ অনুমোদিত সীমা ৮০ কেজি। এসি থ্রি টিয়ার ও চেয়ার কারে যাত্রীরা ৪০ কেজি লাগেজ বিনা খরচে বহন করতে পারবেন, যা একই সঙ্গে সর্বোচ্চ সীমা। ফার্স্ট ক্লাস ও এসি টু টিয়ারে ফ্রি লাগেজ সীমা ৫০ কেজি এবং সর্বোচ্চ ১০০ কেজি পর্যন্ত বহনের অনুমতি রয়েছে। এসি ফার্স্ট ক্লাসে যাত্রীরা বিনা খরচে ৭০ কেজি এবং চার্জ দিয়ে সর্বোচ্চ ১৫০ কেজি পর্যন্ত লাগেজ বহন করতে পারবেন।
রেলমন্ত্রী স্পষ্ট করেন, সর্বোচ্চ সীমার মধ্যেই ফ্রি লাগেজের পরিমাণ অন্তর্ভুক্ত। তিনি আরও জানান, বিনামূল্যের নির্ধারিত সীমার বেশি কিন্তু সংশ্লিষ্ট শ্রেণির সর্বোচ্চ সীমার মধ্যে থাকা অতিরিক্ত লাগেজ যাত্রীরা কোচে সঙ্গে রাখতে পারবেন, তবে সেক্ষেত্রে লাগেজ ভাড়ার দেড় গুণ হারে চার্জ দিতে হবে।
অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, ১০০ সেমি × ৬০ সেমি × ২৫ সেমি মাপের ট্রাঙ্ক, স্যুটকেস ও বাক্স যাত্রীরা ব্যক্তিগত লাগেজ হিসেবে কোচের ভেতরে বহন করতে পারবেন। তবে কোনো একটি মাপ যদি এই সীমা ছাড়িয়ে যায়, তাহলে ওই লাগেজ যাত্রী কোচে বহন করা যাবে না এবং তা ব্রেকভ্যান বা পার্সেল ভ্যানে বুক করতে হবে।
মন্ত্রী আরও জানান, পণ্যসামগ্রী বা বাণিজ্যিক দ্রব্য ব্যক্তিগত লাগেজ হিসেবে যাত্রী কোচে বহনের অনুমতি নেই। নির্ধারিত সীমার অতিরিক্ত লাগেজ রেলের নিয়ম অনুযায়ী ট্রেনের ব্রেকভ্যানে বহন করা হয়, যা নির্দিষ্ট সর্বোচ্চ সীমার মধ্যে বুক করতে হয়।

