আগরতলা, ১৬ ডিসেম্বর:
আজ বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে আগরতলায় এলবার্ট একা যুদ্ধ স্মৃতিসৌধে ভারতের বীর জওয়ানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান রাজ্যপাল ইন্দ্রসেনা রেডি নান্নু। উচ্চশিক্ষামন্ত্রী কিশোর বর্মণ, রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশক অনুরাগ, মেজর জেনারেল এস এস কার্তিকেয় এবং ভারতের সেনাবাহিনীর ও আধা সামরিক বাহিনীর পদস্থ আধিকারিকগণ সকালে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের ইতিহাসের এক অবিস্মরণীয় ও গৌরবময় দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের পর বাঙালি জাতি চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করে। দীর্ঘ ৯ মাসের যুদ্ধ শেষে, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে পাকিস্তানি বাহিনীর প্রায় ৯১,৬৩৪ জন সদস্য আনুষ্ঠানিকভাবে মিত্রবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে। এই আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে পৃথিবীর মানচিত্রে স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে।এটি বাঙালি জাতির হাজার বছরের শৌর্যবীর্য এবং বীরত্বের চূড়ান্ত আত্মপ্রকাশের দিন। বিজয় দিবস প্রতি বছর যথাযোগ্য মর্যাদা ও আনন্দের সাথে উদযাপিত হয়। এই দিনে জাতি গভীর কৃতজ্ঞতা ও পরম শ্রদ্ধায় স্মরণ করে স্বাধীনতার জন্য জীবন উৎসর্গকারী বীর সন্তানদের।
স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের পর সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে রাজ্যপাল বলেন, ১৯৭১ সালে যুদ্ধের সময় ত্রিপুরা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছিল। ঐ সময়ের পূর্ব পাকিস্থান থেকে ব্যাপক সংখ্যায় শরণার্থী ত্রিপুরায় আশ্রয় নিয়েছিলেন। ঐসময় ভারত সরকার বাংলাদেশের সংগ্রামী মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিল। ভারতীয় বীর জওয়ানদের আত্মত্যাগের ফলে স্বাধীন বাংলাদেশ গঠিত হয়েছিল। তাদের আত্মত্যাগ ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।

