মুম্বাই, ৮ ডিসেম্বর : মুম্বাই পুলিশ ওলা এবং রাপিডো কোম্পানির পরিচালকদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছে, যেখানে অভিযোগ করা হয়েছে যে এই দুটি কোম্পানি যথাযথ অনুমতি ছাড়াই শহরে বাইক ট্যাক্সি পরিষেবা চালু করেছে। রিজিওনাল ট্রান্সপোর্ট অফিস -এর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ এফআইআর দায়ের করেছে।
মুম্বাইয়ের আম্বোলি থানায় দায়ের করা এফআইআর-এর মাধ্যমে এই মামলা নিবন্ধিত হয়, যেখানে বলা হয়েছে যে ওলা ও রাপিডো কোম্পানি রাজ্য সরকারের বা রিজিওনাল ট্রান্সপোর্ট অথরিটি-এর কাছ থেকে অনুমতি না নিয়ে শহরের মধ্যে বাইক ট্যাক্সি পরিষেবা চালাচ্ছিল। আরটিও-র তরফে দায়ের করা অভিযোগে জানানো হয়েছে যে মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন মারফত এই দুই কোম্পানি অবৈধভাবে যাত্রী পরিবহন চালিয়ে আসছে।
অভিযোগের মধ্যে রয়েছে যে রাপিডো এবং ওলা কোম্পানি শহরের মধ্যে বাইক ট্যাক্সি পরিষেবা চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় অনুমতি না নিয়ে যাত্রী পরিবহন করছে এবং এর মাধ্যমে তারা অবৈধভাবে মুনাফা অর্জন করছে।
এছাড়া, অভিযোগে বলা হয়েছে যে, এই কোম্পানিগুলোর চালকরা কোনো ধরনের ব্যাকগ্রাউন্ড চেক বা নিরাপত্তা যাচাইয়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন না, বিশেষ করে মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। যেহেতু চালকদের সঠিক নিরাপত্তা এবং আচরণ যাচাইয়ের কোনো ব্যবস্থা নেই, তাই যাত্রীরা বিপদে পড়তে পারেন। বিশেষ করে মহিলাদের জন্য এটি একটি বড় ঝুঁকি সৃষ্টি করছে।
রিজিওনাল ট্রান্সপোর্ট অফিস অভিযোগ করেছে যে রাপিডো মুম্বাইয়ে ট্রান্সপোর্ট ডিপার্টমেন্টের অনুমতি ছাড়াই তার পরিষেবা চালাচ্ছে, যা ২০২০ সালের মোটর ভেহিকল অ্যাগ্রিগেটর গাইডলাইন এবং মোটর ভেহিকলস অ্যাক্টের সেকশন ৬৬-এর লঙ্ঘন। এই আইনে পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছে যে, ব্যক্তিগত যানবাহনকে যাত্রী পরিবহন বা ভাড়া নেওয়ার জন্য ব্যবহার করা যাবে না।
মুম্বাই পুলিশ অ্যাম্বোলি থানায় মোটর ভেহিকল অ্যাক্টের একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করেছে, যার মধ্যে ১৯৮৮, ১৯৩, ১৯৭, ১৯২(এ), ৯৩ এবং ৬৬ ধারাসহ বিএনএস ১২৩ এবং ৩১৮(৩) ধারাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
এই মামলাটি মুম্বাইয়ের রাইড-হেলিং প্ল্যাটফর্মগুলোর ওপর নজরদারি বাড়ানোর সঙ্কেত হিসেবে দেখা যাচ্ছে, কারণ এই ধরনের পরিষেবাগুলো দ্রুত সম্প্রসারিত হলেও প্রয়োজনীয় নিয়ন্ত্রণ এবং বিধিমালা প্রণয়ন করা হয়নি, যা যাত্রীদের নিরাপত্তা এবং সঠিক নিয়ম মেনে চলা নিশ্চিত করতে সাহায্য করবে।

