আগরতলা, ৭ ডিসেম্বর : ত্রিপুরার সীমান্তবর্তী অঞ্চলে বসবাসকারী মানুষের মাঝে সম্প্রতি চরম আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলার দুই ব্যক্তিকে ঘিরে তারকারাজ্যে নানা ধরনের উদ্বেগজনক অভিযোগ ছড়িয়েছে। সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষ সোশ্যাল মিডিয়া ও বিভিন্ন অনানুষ্ঠানিক মাধ্যমে শুনে আসছিল যে বাংলাদেশে নাকি অস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণের মাধ্যমে যুবকদের উগ্রবাদী কর্মকাণ্ডে জড়ানোর চেষ্টা চলছে। এসব অভিযোগের পর আবারও কুমিল্লা থেকে উঠে এসেছে দুই ব্যক্তির নাম।
স্থানীয় সাংবাদিকদের বরাতে অভিযোগ উঠে, কুমিল্লার এক ব্যক্তি আলমগীরকে কুখ্যাত অস্ত্র ব্যবসায়ী এবং একটি তথাকথিত উগ্রবাদী প্রশিক্ষণচক্রের সঙ্গে যুক্ত বলে দাবি করা হচ্ছে। অভিযোগ অনুযায়ী, তিনি আগে অস্ত্র আমদানি-রপ্তানির সঙ্গে যুক্ত থাকলেও সম্প্রতি যুবকদের অস্ত্র ধরিয়ে উগ্রপন্থায় প্রলুব্ধ করার চেষ্টার কথাও উঠে এসেছে।
অন্যদিকে, কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকার আরেক ব্যক্তি জুয়েলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি নাকি দীর্ঘদিন ধরে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য থেকে অবৈধভাবে মাদক ও বিভিন্ন পাচারযোগ্য পণ্য বাংলাদেশে প্রবেশ ঘটানোর সঙ্গে যুক্ত। অভিযোগ রয়েছে, এসব সামগ্রী তাঁর হেফাজতে মজুদ থাকে এবং পরবর্তীতে বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় সূত্রের দাবি, ওই ব্যক্তি নাকি বাংলাদেশ পুলিশের একটি حلقার সোর্স হিসেবেও কাজ করেন। ফলে তাঁকে নিয়ে বহু প্রশ্ন থাকলেও আইনগত ব্যবস্থা নিতে বিলম্ব হচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
অভিযোগকারীদের দাবি, বাংলাদেশে সরকারের পালাবদলের পর এদের কর্মকাণ্ড আরও বৃদ্ধি পেয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারী মানুষ আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, এই দুই ব্যক্তির তৎপরতার কারণে ভারতীয় সীমান্তে যেকোনো সময় অঘটন ঘটতে পারে। তাই তাঁদের দাবি, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী যেন অতিরিক্ত সতর্কতা গ্রহণ করে।
স্থানীয় প্রশাসন ও নিরাপত্তা সংস্থার পক্ষ থেকে এসব অভিযোগ সম্পর্কে আনুষ্ঠানিক মন্তব্য এখনো পাওয়া যায়নি।

