ঋণের চাপে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে মহিলা

আগরতলা, ৬ ডিসেম্বর : ঋণ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ঋণ ঘুরিয়ে দিতে না পেরে ঋণের চাপে এক মহিলা আত্মহত্যা করেছেন বলে জানান কৈলাসহর মহিলা থানার পুলিশ অফিসার প্রতিভা সিনহা। এই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট এলাকায় শোকের ছায়া নেমে পড়েছে। ঘটনা কৈলাসহরের পূর্ব কাউলিকুড়া গ্রামে।

উল্লেখ্য, কৈলাসহরের গৌরনগর ব্লকের অধীনস্হ কাউলিকুড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের তিন নং ওয়ার্ডের পূর্ব কাউলিকুড়া গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা অঞ্জনা মালাকার। হতদরিদ্র অঞ্জনা মালাকার এবং স্বামী পরিমল মালাকার দুজনেই দিনমজুর। আত্মহত্যার ব্যাপারে কৈলাসহর মহিলা থানার পুলিশ অফিসার প্রতিভা সিনহা জানান যে, বিভিন্ন মাইক্রোফাইনান্স সংস্থা থেকে ঋন নিয়ে ঋন ঘুরিয়ে দিতে না পেরে অঞ্জনা মালাকার মারা গেছেন

তবে, গ্রামবাসী সূত্রে জানা যায় যে, গ্রামে কিংবা পাশ্ববর্তী এলাকায় কাজকর্ম না পাবার ফলে মাইক্রোফাইনান্স সংস্থা থেকে ঋন নিয়েছিলেন অঞ্জনা মালাকার। বিভিন্ন সময়ে বন্ধন এবং ভারত সহ মোট তিনটি মাইক্রোফাইনান্স সংস্থা থেকে ঋন নিয়েছিলেন অঞ্জনা দেবী। যখন মাঝেমধ্যে কাজ জুটতো তখন ঋনের কিস্তি দিতেন। আর, যখন কাজ জুটতো না তখন ঋনের কিস্তি দিতে পারতেন না অঞ্জনা দেবী। দীর্ঘদিন ধরে অঞ্জনা দেবী কিংবা স্বামী পরিমল মালাকার কোনো ধরনের কাজ পাচ্ছিলেন না। অন্যদিকে মাইক্রোফাইনান্স সংস্থার কমীরা বাড়িতে গিয়ে ক্রমাগত ঋনের কিস্তির জন্য চাপ দিচ্ছিলেন। কোনো উপায় না পেয়ে অঞ্জনা দেবী বাড়ির পাশের জঙ্গলে গিয়ে গাছে উঠে গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেন। তবে,পাঁচ ডিসেম্বর শুক্রবার বিকেল চারটা থেকে অঞ্জনা মালাকার নিজ বাড়ি থেকে নিখোঁজ ছিলেন।

শুক্রবার গ্রামের অন্যান্য বাড়ি সহ নিজ আত্মীয় স্বজনদের বাড়িতে খোঁজ করেছিলেন স্বামী পরিমল মালাকার। ছয় ডিসেম্বর সকাল দশটা নাগাদ গ্রামবাসীরা হঠাৎ দেখতে পান যে, বাড়ির পাশের জঙ্গলের গাছের মধ্যে ঝুলে রয়েছে অঞ্জনা মালাকার। সাথে সাথেই কৈলাসহর মহিলা থানায় খবর দেয় গ্রামবাসীরা। খবর পেয়ে কৈলাসহর মহিলা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহ গাছ থেকে নামায়। পরবর্তী সময়ে মৃতদেহের ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহ ঊনকোটি জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ।

Leave a Reply