নয়া দিল্লি, ৬ ডিসেম্বর: লোকসভায় একটি প্রাইভেট মেম্বারস বিল উত্থাপন করা হয়েছে যা দীপফেক কন্টেন্টের জন্য একটি স্পষ্ট আইনি কাঠামো প্রতিষ্ঠা করতে লক্ষ্য করে। শিব সেনা নেতা শ্রীকান্ত শিন্ডে শুক্রবার এই বিলটি সংসদে উত্থাপন করেন। “ডিপফেকের অপব্যবহার, হয়রানি, প্রতারণা এবং মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর ক্ষেত্রে অত্যধিক বৃদ্ধি পেয়েছে, যা নিয়ন্ত্রক সুরক্ষার প্রয়োজনীয়তা সৃষ্টি করেছে,” শিন্ডে বলেছিলেন।
এই বিলটি ডিপফেক কন্টেন্ট তৈরী বা প্রচারের ক্ষেত্রে ক্ষতিকারক উদ্দেশ্যে অপরাধীদের বিরুদ্ধে শাস্তি নির্ধারণ করেছে। এছাড়া, এটি জনসাধারণের সম্মতি ছাড়া কন্টেন্ট তৈরি করা বা বিতরণ করা বেআইনি ঘোষণা করবে।
শিন্ডে বিলটির উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করে বলেন, “কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং গভীর শিক্ষা প্রযুক্তির অগ্রগতির সাথে সাথে দীপফেক প্রযুক্তি একটি গুরুত্বপূর্ণ মিডিয়া মনিপুলেশনের হাতিয়ার হিসেবে উঠে এসেছে। যদিও এই প্রযুক্তিটির শিক্ষার, বিনোদন এবং সৃজনশীল ক্ষেত্রে সম্ভাব্য ব্যবহার রয়েছে, তবুও এটি ভুলভাবে ব্যবহৃত হলে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা, জাতীয় নিরাপত্তা এবং জনসাধারণের বিশ্বাসের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে।”
এই প্রস্তাবিত বিলটি দীপফেক কন্টেন্ট তৈরি, বিতরণ এবং প্রয়োগের জন্য একটি স্পষ্ট আইনি কাঠামো প্রতিষ্ঠা করতে চায়। এর পাশাপাশি, একটি দীপফেক টাস্ক ফোর্স গঠন করার প্রস্তাব রয়েছে, যা জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত ঝুঁকি মোকাবেলা এবং নির্বাচন প্রভাবিত করার সম্ভাবনা বিশ্লেষণ করবে। এই টাস্ক ফোর্সটি একাডেমিক এবং বেসরকারি খাতের প্রতিষ্ঠানগুলির সাথে সহযোগিতা করে ম্যানিপুলেটেড কন্টেন্ট শনাক্তকরণের প্রযুক্তি উন্নয়ন করবে, যা ডিজিটাল মিডিয়ার বিশ্বাসযোগ্যতা বৃদ্ধি করবে।
এছাড়া, এই বিলটি একটি তহবিল গঠনের প্রস্তাব করেছে, যা পাবলিক এবং প্রাইভেট খাতের উদ্যোগসমূহের সহায়তা করবে, যার মাধ্যমে উন্নত চিত্র ম্যানিপুলেশন শনাক্তকরণ এবং প্রতিরোধের প্রচেষ্টা সমর্থিত হবে।
প্রাইভেট মেম্বারস বিল সংসদের একটি প্রক্রিয়া, যা মন্ত্রী নয় এমন আইনপ্রণেতাদেরকে এমন বিষয়গুলির প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করার সুযোগ দেয়, যা সরকারের বিলগুলিতে প্রতিফলিত না হতে পারে অথবা বর্তমান আইনি কাঠামোর মধ্যে যেসব ফাঁক-ফোকর রয়েছে, সেগুলি চিহ্নিত করে আইনগত হস্তক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে।

