আত্মনির্ভর ত্রিপুরা গড়ে তোলা রাজ্য সরকারের মূল লক্ষ্য: শিল্পমন্ত্রী

আগরতলা, ৫ ডিসেম্বর: সচিবালয়ের ৩ নং সভাকক্ষে আজ এক অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী দক্ষতা উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে সফটওয়ার ডেভেলপার হিসেবে নির্বাচিত ৩০ জন প্রার্থীকে অফার লেটার প্রদান করা হয়। শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তরের মন্ত্রী সান্তনা চাকমা তাদের হাতে অফার লেটারগুলি তুলে দেন। নির্বাচিতদের হাতে অফার তুলে দিয়ে শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রী শ্রীমতি চাকমা বলেন, আত্মনির্ভর ত্রিপুরা গড়ে তোলা রাজ্য সরকারের মূল লক্ষ্য। মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহার নেতৃত্বে রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী দক্ষতা উন্নয়ন প্রকল্প চালু করা হয়েছে।

এই প্রকল্পে রাজ্যের ছেলেমেয়েদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, রাজ্যের ছেলেমেয়েরা প্রতিভা ও দক্ষতার দিক থেকে কোনও অংশেই কম নয়। রাজ্য সরকার রাজ্যের ছেলেমেয়েদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা প্রদানে সচেষ্ট রয়েছে। আজ যারা অফার পেয়েছেন তারা সবাই আমাদের দেশের এবং রাজ্যের ভবিষ্যত। দেশ ও রাজ্যকে অগ্রগতির পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে তাদের অগ্রণী ভূমিকা রয়েছে। তিনি বলেন, বর্তমান রাজ্য সরকার তথ্য ও প্রযুক্তির উন্নয়নে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়েছে। রাজ্যে আই.টি. হাব গড়ে তোলা এই সরকারের অন্যতম লক্ষ্য। অনুষ্ঠানে শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রী অফার প্রাপকদের শুভেচ্ছা ও কর্মজীবনে তাদের সফলতা কামনা করেন।

অফার লেটার প্রদান অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে স্কিল ডেভেলপমেন্ট দপ্তরের অধিকর্তা প্রদীপ কৃষ্ণ রাজু বলেন, মুখ্যমন্ত্রী দক্ষতা উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে নির্বাচিত এই ৩০ জন প্রার্থীকে রাজ্যের আই.টি. শিল্প সংস্থায় সফটওয়ার ডেভেলপমেন্ট ও আই.টি. সম্পর্কিত বিভিন্ন কাজে ৬ মাসের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

প্রশিক্ষণ চলাকালীন বৃত্তি হিসেবে তারা প্রত্যেকে মাসিক ১০ হাজার টাকা করে পাবেন। ৬ মাসের প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হওয়ার পর সংশ্লিষ্ট আইটি, সংস্থায় স্থায়ীভাবে তাদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে এবং প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা করে তাদের প্রত্যেককে প্রদান করা হবে। রাজ্যের ছেলেমেয়েদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা এবং রাজ্যের আইটি, সংস্থাগুলিতে দক্ষ জনশক্তি প্রদান করাই এই উদ্যোগের মূল উদ্দেশ্য বলে অধিকর্তা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী দক্ষতা উন্নয়ন প্রকল্পে বিভিন্ন ক্ষেত্রে দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য প্রায় হাজার লোককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।

Leave a Reply