আগরতলা, ১ ডিসেম্বর : অস্তিত্ব সংকট দেখেই ‘ওয়ান নর্থ ইস্ট’ প্রচার করছে তিপরা মথার প্রাক্তন সুপ্রিমো তথা এমডিসি প্রদ্যোত কিশোর দের্ববমণ। আসলে জনগণকে বোকা বানানোর জন্য উত্তরপূর্বাঞ্চলের ব্যর্থ আঞ্চলিক দলের নেতৃত্বদের নিয়ে নতুন ফন্দি এঁটেছেন তিনি। আজ সাংবাদিক সম্মেলনে প্রদ্যোত কিশোর দেবর্বমণের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগড়ে দিলেন প্রাক্তন সাংসদ রেবতী ত্রিপুরা।
এদিন প্রাক্তন সাংসদ রেবতী ত্রিপুরা বলেন, আস্তাবল ময়দানে ‘ওয়ান নর্থ ইস্ট’ মঞ্চের আড়ালে তিপরা মথার জনসভার আয়োজন করা হয়েছিল। ওই জনসভা থেকে উস্কানিমূলক ব্যক্তব রেখেছেন তিপরা মথার প্রাক্তন সুপ্রিমো প্রদ্যোত সহ উত্তরপূর্বাঞ্চলের কিছু আঞ্চলিক দলের নেতৃত্বরা। বিজেপির আমলে সাহস পেয়েছেন বলেই এত বড় বড় কথা বলতে পারছেন প্রদ্যোত।
রেবতী ত্রিপুরার অভিযোগ, কখনো আঞ্চলিক দল স্থায়ী হতে পারে না। কারণ, তাঁরা এক দুটো ইস্যুকে অস্ত্র করে জনগণকো বোকা বানানোর উদ্দ্যোশে দল গঠন করে থাকেন। যখন তাঁরা দেখতে পান জনগণকে বোকা বানানো সম্ভব হচ্ছে মা তখন তাঁরা নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করে থাকেন। যেমন, অস্তিত্ব সংকট ঢাকতেই প্রদ্যোত এখন ‘ওয়ান নর্থ ইস্ট’ বলছেন। তিপ্রাল্যান্ড আর গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ড একসময় যে দাবি তুলেছিলেন, এখন সেগুলো ডিকশনারি থেকেই মুছে দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন সময়ে প্রদ্যোতের বক্তব্য পরস্পরবিরোধী এবং বিভাজনের রাজনীতি উসকানি দেওয়ার চেষ্টা চলছে।
প্রাক্তন সাংসদের আরও অভিযোগ, এডিসিতে আর্থিক শৃঙ্খলা শূন্য। সাংবিধানিক নিয়ম-কানুন মানা হচ্ছে না। উন্নয়নের নামে শুধুই কথার ফুলঝুরি। তিনি দাবি করেন, এডিসির সমস্ত আর্থিক কর্মকাণ্ডের অডিট হওয়া জরুরি। তাঁর কটাক্ষ, কংগ্রেসে থাকাকালীন এক কথা বলতেন, এখন আরেক কথা। ১০–১৫ বছর পরে আবার বলবেন ভুল হয়েছে। নিজের বাবার বা মায়ের পরিচয় না দিয়ে দাদুর নামেই রাজনীতি করেন, প্রদ্যোত। কারণ তাঁর বাবা কংগ্রেস নেতা ও সংসদ ছিলেন। বাবার পরিচয়ে পরিচিত হতে লজ্জা পায় তিনি।
তিনি আরও দাবি করেন, ছোট্ট ত্রিপুরাকে ভাগ করে নতুন রাজ্য গঠন বা সংবিধানের নামে বিশেষ অধিকার দাবি করা বাস্তবসম্মত নয়। তাঁর দাবি , প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহার আমলে রাজ্যে উগ্রবাদ প্রায় নির্মূল হয়েছে, পরিকাঠামো উন্নয়ন বেড়েছে এবং ত্রিপুরা এখন দেশব্যাপী পরিচিতি পাচ্ছে। কিন্তু রাজ্যে পুনরায় দাঙ্গা সংঘটিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

