তামিলনাড়ুতে দুই সরকারি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত অন্তত ১০, বহু আহত

চেন্নাই, ৩০ নভেম্বর : তামিলনাড়ুর সিভাগঙ্গা জেলার কুম্মাঙ্গুড়ি এলাকার কাছে রবিবার সন্ধ্যায় দুইটি সরকারি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন নিহত এবং ২০ থেকে ৪০ জনেরও বেশি যাত্রী আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।

ঘটনাটি তিরুপাথুরের কাছে, পিল্লাইয়ারপট্টি থেকে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দূরে ঘটে। সংঘর্ষের তীব্রতায় বাস দুটির সামনের অংশ সম্পূর্ণ দুমড়ে-মুচড়ে যায়, অনেক যাত্রী ভিতরে আটকে পড়েন।

এনডিটিভিকে ঘটনাস্থল থেকে এক পুলিশ আধিকারিক জানান,
“কমপক্ষে ১০ জন মারা গিয়েছেন এবং প্রায় ২০ জন আহত হয়েছেন। স্থানীয় মানুষ ও অন্য যাত্রীরা দ্রুত উদ্ধার কাজে সহায়তা করেন।”

সংঘর্ষের পরপরই স্থানীয় বাসিন্দা এবং জরুরি পরিষেবার কর্মীরা যৌথভাবে আহতদের উদ্ধার করে। ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, বাসের সামনের কাঁচ উড়ে গেছে, বডির পাশে সম্পূর্ণ ছিঁড়ে গেছে। কিছু মৃতদেহ মাটিতে সারিবদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। এক মহিলা বাসের সামনের দিক থেকে লাফিয়ে বের হচ্ছেন, এবং আরেকজনকে কপাল থেকে রক্তপাত অবস্থায় মাটিতে বসে থাকতে দেখা যায়।

একটি বাস তিরুপ্পুর থেকে করাইকুড়ি যাচ্ছিল, অন্যটি করাইকুড়ি থেকে দিন্ডিগুল অভিমুখে চলছিল, কিছু সূত্র জানিয়েছে, আরেকটি তথ্য অনুযায়ী, একটি বাস মাদুরাইমুখী ছিল।

আহতদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় থাকা কয়েকজনকে সিভাগঙ্গাই সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। প্রশাসনের মতে, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

দুর্ঘটনার কারণ জানতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। আপাতত ওই রুটে যান চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।

এটি দক্ষিণ তামিলনাড়ুতে এক সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয় বড় বাস দুর্ঘটনা। গত সপ্তাহে তেনকাসি জেলায় দুইটি বেসরকারি বাসের সংঘর্ষে ৬ জন নিহত হয়েছিলেন। সেই ঘটনাতেও বেপরোয়া গাড়ি চালনাকে সম্ভাব্য কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল।

প্রশাসন জানিয়েছে, “দুর্ঘটনার সঠিক কারণ জানতে তদন্ত চলছে। আহতদের দ্রুত চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আরও তথ্য শীঘ্রই জানানো হবে।”

ঘটনাটি স্থানীয় এলাকায় চরম শোকের ছায়া ফেলেছে। উদ্ধার ও চিকিৎসা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।