ভুবনেশ্বর, ২৮ নভেম্বর: ওড়িশা বিধানসভায় তাঁর প্রথম রাষ্ট্রপতি ভাষণে দ্রৌপদী মুর্মু জনগণের প্রতিনিধিত্বের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, মানুষ আপনাদের বহু স্বপ্ন নিয়ে পাঠিয়েছেন। তাদের মুখে হাসি ফোটানোই আপনাদের দায়িত্ব। তিনি আরও বলেন, সরকার জনগণের হাতে এবং বিধায়করা সেই জনগণের প্রত্যাশার প্রতীক। তাই তাদের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ করাই জনপ্রতিনিধিদের প্রধান কর্তব্য।
রাষ্ট্রপতি মুর্মু বিধায়কদের আচরণ ও বক্তব্যের ওপর জোর দিয়ে বলেন, আপনারা সমাজে পরিচিত মুখ। আপনাদের কথা ও কাজ মানুষ অনুসরণ করে। তাই আপনাদের আচরণ ও ভাষণ অত্যন্ত মূল্যবান।
তিনি ওড়িশা বিধানসভায় নারীদের বাড়তি অংশগ্রহণের প্রশংসা করেন এবং উল্লেখ করেন যে একজন মহিলা স্পিকার আজ হাউস পরিচালনা করছেন—যা রাজ্যের অগ্রগতির প্রতীক। রাষ্ট্রপতি মুর্মু ওড়িশার সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে বলেন, ওড়িশা নানা সম্পদে ভরপুর। তাই ওড়িশাকে অগ্রণী রাজ্যে পরিণত করা সম্ভব। তিনি ২০৩৬ সালের মধ্যে একটি সমৃদ্ধ ওড়িশা গড়ে তোলার আহ্বান জানান এবং বিধায়কদের রাজ্যের উন্নয়নকে ব্যক্তিগত সংকল্প হিসেবে গ্রহণ করার অনুরোধ করেন।
নিজের রাজনৈতিক যাত্রার স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, আমি এই বিধানসভায় এমএলএ হিসেবে প্রশ্ন করেছি, মন্ত্রী হিসেবে প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি। তিনি জগন্নাথ দেবের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, তাঁর আশীর্বাদ ছাড়া এখানে পৌঁছানো সম্ভব হতো না।
রাষ্ট্রপতি মুর্মু ওড়িশার গৌরবময় অতীতের কথাও স্মরণ করেন—মহাতাব, বিজু পট্টনায়কের মতো নেতাদের অবদানের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাদের কাজই ওড়িশাকে এগিয়ে নিয়ে গেছে। তাঁর এই ঐতিহাসিক ভাষণ বিধায়কদের ভারত গঠনের বৃহত্তর স্বপ্নে কাজ করার অনুপ্রেরণা জোগায়।

