রাজধানীতে মাদক উদ্ধার, ৩২৯ কেজি মেথামফেটামিন সহ দুই ব্যক্তি গ্রেপ্তার

নয়াদিল্লি, ২৪ নভেম্বর : দিল্লির ছত্রপূর এলাকায় এক বিশাল মাদক অভিযান চালিয়ে ৩২৯ কেজি মেথামফেটামিন উদ্ধার করেছে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি) ও দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল। এর মূল্য প্রায় ২৬২ কোটি রুপি। মাদক পাচারের সাথে যুক্ত দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

অপারেশন ‘ক্রিস্টাল ফোর্ট্রেস’ নামে পরিচিত এই অভিযান ছিল একটি গোয়েন্দা ভিত্তিক উদ্যোগ, যার উদ্দেশ্য ছিল একটি আন্তর্জাতিক মাদক সিন্ডিকেটকে চিহ্নিত করে ধ্বংস করা। সন্দেহ করা হচ্ছে যে, এই সিন্ডিকেটটি একটি বিদেশী নেতা দ্বারা পরিচালিত, যিনি গত বছর দিল্লিতে ৮৩ কেজি কোকেন উদ্ধার হওয়ার ঘটনায় যুক্ত ছিলেন।

মুখ্যমন্ত্রী অমিত শাহ এই অভিযানের প্রশংসা করেছেন এবং বলেছেন, “কেন্দ্র সরকার মাদক চক্রগুলোকে অপ্রতুল গতিতে ধ্বংস করছে। এটি প্রধানমন্ত্রী মোদি’র মাদক মুক্ত ভারতের দৃষ্টিভঙ্গির সাফল্য।”

প্রাথমিক তদন্ত অনুযায়ী, অভিযানের সাফল্য এসেছে দীর্ঘ মাসের গোয়েন্দা নজরদারি, প্রযুক্তিগত পর্যবেক্ষণ এবং তথ্য বিনিময়ের মাধ্যমে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দিল্লি এখন মাদক সরবরাহের জন্য একটি বড় কেন্দ্র হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে, যেখানে স্থানীয়ভাবে মাদক বিতরণ ও আন্তর্জাতিক বাজারে মাদক পরিবহন ঘটে।

গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে একজন শেন ওয়ারিস (২৫), যিনি উত্তরপ্রদেশের আমরোহা জেলার বাসিন্দা। তাকে ২০ নভেম্বর নয়ডার সেক্টর ৫ থেকে আটক করা হয়। তিনি একজন সেলস ম্যানেজার হিসেবে কাজ করতেন এবং সন্দেহ করা হচ্ছে, তিনি একাধিক মিথ্যা সিম কার্ড ও এনক্রিপ্টেড যোগাযোগ অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে মাদক সিন্ডিকেটের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন।

ওয়ারিসের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়ে, এনসিবি কর্তৃপক্ষ ছত্রপূরের একটি বাসায় অভিযান চালায় এবং সেখানে মেথামফেটামিনের বিশাল চালান উদ্ধার করে। এছাড়া, নাগাল্যান্ড পুলিশের সহযোগিতায় ওই বাসার বাসিন্দা এসথার কিনিমি (নাগাল্যান্ড)কেও গ্রেপ্তার করা হয়।

প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, ওয়ারিস এবং কিনিমি বিদেশী অপারেটরদের নির্দেশে কাজ করছিলেন। এনসিবি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে এই সিন্ডিকেটের মূল চিফকে শনাক্ত এবং গ্রেপ্তার করার চেষ্টা চলছে।

এই মাদক উদ্ধারটি দিল্লির সবচেয়ে বড় মেথামফেটামিন উদ্ধারগুলোর মধ্যে একটি হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে এবং কর্তৃপক্ষের লক্ষ্য হল সিন্ডিকেটটি পুরোপুরি ধ্বংস করা এবং আন্তর্জাতিক বাজারে তাদের সম্প্রসারণ ঠেকানো।