নয়াদিল্লি, ২৪ নভেম্বর : ২০২৩ সালে কংগ্রেস নেতা জয়রাম রামেশ রাজ্যসভা চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখরের বিরুদ্ধে ‘চিয়ারলিডার’ মন্তব্য করেছিলেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে, বিজেপি সাংসদ সুধাংশু ত্রিবেদী এপ্রিল ২০২৩ সালে একটি অধিকার লঙ্ঘন অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার রাজ্যসভা অধিকার কমিটি একটি সভা করে, যাতে রামেশকে এই বিষয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য ডাকা হয়।
কমিটিতে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি চেয়ারম্যান হারিভংশ, সুধাংশু ত্রিবেদী, দীপক প্রকাশ, কার্তিকেয় শর্মা, সুরেন্দ্র সিং নাগর ও জি কে ভাসান। সভায় বিষয়টিকে গুরুতর হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে এবং রামেশকে আবার ডেকে আরও স্পষ্টকরণ চাওয়া হতে পারে বলে জানা গেছে।
রামেশ কমিটিতে তার প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, “আমার উদ্দেশ্য কখনোই চেয়ারম্যানের অসম্মান করা ছিল না। আমি চেয়ারম্যানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা পোষণ করি।”
এই বিতর্কটি ২০২৩ সালের মার্চ মাসে শুরু হয়, যখন রামেশ রাজ্যসভা চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখরের সমালোচনা করে বলেছিলেন যে, তিনি সরকারের পক্ষ নিয়ে কাজ করছেন। রামেশ এক অনুষ্ঠানে বলেন, “চেয়ারম্যান হলেন একজন অফিশিয়াল অম্পায়ার, রেফারি, বন্ধু, দার্শনিক ও গাইড সকলের জন্য। তিনি শাসক দলের জন্য চিয়ারলিডার হতে পারেন না। ইতিহাস নেতাদের শুধু তাদের দলের পক্ষে অতিরিক্ত উত্সাহী সুরক্ষার জন্য মূল্যায়ন করে না, বরং তাদের দায়িত্ব পালন করার মহিমা মাপা হয়।”
রামেশের এই মন্তব্যের পর কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ২০২৩ সালের লন্ডনে একটি অনুষ্ঠানে ভারতের সংসদে বিরোধী দলের সদস্যদের মাইক্রোফোন বন্ধ থাকার অভিযোগ তুলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “আমাদের মাইক বন্ধ থাকে না, তবে তবুও তা চালু করা হয় না। এটা বহুবার আমার সঙ্গেও হয়েছে।”
এই মন্তব্যের পর বিজেপি তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে রাহুল গান্ধীকে বিদেশে ভারতের সম্মানহানি করার অভিযোগ আনে এবং পরে রামেশের বিরুদ্ধে একটি অধিকার লঙ্ঘন অভিযোগ দায়ের করা হয়।

