কুমারঘাট, ২৩ নভেম্বর : মনু নদী থেকে মেশিন লাগিয়ে নির্বিচারে বালি তুলছে একটি প্রভাবশালী চক্র—এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ তুলল ক্ষুব্ধ গ্রামবাসী। টিপি ছাড়াই ওভারলোড বালি বোঝাই ট্রাক দিন-রাত গ্রামের একমাত্র রাস্তায় চলাচল করায় রাস্তাটি আজ প্রায় সম্পূর্ণ ভেঙে গেছে। এ কারণে ছাত্র-ছাত্রী থেকে কর্মজীবী মানুষ, এমনকি অসুস্থ রোগীদেরও দৈনন্দিন যাতায়াত হয়ে পড়েছে চরম দুর্ভোগময়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এলাকার কিছু প্রভাবশালী মহলের আশ্রয়-প্রশ্রয় ছাড়া এভাবে বালি মাফিয়া সিন্ডিকেটের বেপরোয়া দৌরাত্ম্য সম্ভব নয়। প্রতিদিন অসংখ্য ভারী ট্রাক যাতায়াতের ফলে গ্রামের মূল রাস্তাটি এখন চলাচলের অনুপযোগী। স্কুলগামী শিক্ষার্থীদেরও পড়তে হচ্ছে দারুণ ভোগান্তিতে।
অতিরিক্ত বালি উত্তোলনের ফলে নদীর পাড়ে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। ফলে ঘরবাড়ি, চাষের জমি ও বসতভিটে প্রতি মুহূর্তে পড়ছে বিপদের মুখে। পরিবেশ ধ্বংসের আশঙ্কা থাকলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনও গ্রহণ করা হয়নি কোনও দৃশ্যমান কঠোর পদক্ষেপ।
অবৈধ কার্যকলাপের প্রতিবাদে ফেটে পড়ে স্থানীয় জনতা। সম্প্রতি কোনও অনুমতিপত্র (টিপি) ছাড়াই চলাচল করা এক বালি বোঝাই লরি আটকেও দেয় তারা। গ্রামবাসীরা হুঁশিয়ারি দেন, “এবার যদি অবৈধ বালি উত্তোলন বন্ধ না হয়, তবে আমরা আরও কঠোর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবো।”
স্থানীয়দের অভিযোগ, ‘রাষ্ট্রবাদী জিনিয়াস’ নামে পরিচিত এক শক্তিশালী গোষ্ঠী দীর্ঘদিন ধরে এই বালি পাচার চক্র চালিয়ে আসছে। তবে এবার তা রুখে দিয়ে গ্রামবাসী দেখিয়ে দিলেন—জনতার ঐক্যই সব থেকে বড় শক্তি।
প্রশাসনের প্রতি স্থানীয়দের একটাই দাবি— “বালি মাফিয়ার দৌরাত্ম্য বন্ধ হোক, গ্রাম বাঁচুক, নদী বাঁচুক।” এখন নজর—মহকুমা শাসকের দপ্তর ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসন কত দ্রুত এবং কতটা কার্যকরভাবে পদক্ষেপ নেয়।
___

